নিজস্ব প্রতিবেদক
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, অনেক ত্যাগ তিতীক্ষার বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এ নতুন বাংলাদেশে যেন স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ফিরে না আসে। জুলুম নির্যাতনের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়। জুলুম থেকে বাংলাদেশকে চির জীবনের জন্য মুক্ত করে।
গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দেখতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, গত ৫ তারিখ বাংলাদেশে একটা পরিবর্তন হয়েছে। এ পরিবর্তনটা খুব সহজে আসে নাই। অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের প্রিয় মাতৃভ‚মিতে একটা পরিবর্তন হয়েছে। হাজারো ছাত্র-জনতার ত্যাগের বিনিময়ে যে পরিবর্তনটা এসেছে সেটা যেন জনগণের কাজে লাগে।
জামায়াত আমীর বলেন, আহতদের মধ্যে যাদেরকে দেখেছি তাদের প্রত্যেকের মুখে আমরা সন্তুষ্টির হাসি দেখেছি। তারা বলেছেন, এখানকার (চমেক) চিকিৎসার উপর তারা পুরোপুরি সন্তুষ্ট। আন্দোলনের জন্য নিজেদের রক্ত দিতে পেরে তারা প্রত্যেকেই গর্বিত। আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন আল্লাহ তাদের শাহাদাত কবুল করুন। আর যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রæত সুস্থতা কামনা করছি। এছাড়াও চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তাসলিম উদ্দিনকে ধন্যবাদ জানান।
গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছলে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর সাড়ে ৯টায় তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দেখতে যান। এসময় তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন। তিনি তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এরপর সাড়ে ১০টায় আন্দোলনে নিহত শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত ও শহীদ ওমর ফারুকের পরিবার পরিজনের খোঁজখবর নেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন এবং দোয়া কামনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, সাবেক হুইপ ও চট্টগ্রাম মহানগর আমীর শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও মহানগর নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও মহানগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন। এছাড়া কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও মহানগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, এফ এম ইউনুছ ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, কর্মপরিষদ সদস্য ডা. ছিদ্দিকুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, মহানগর অফিস সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, কোতোয়ালী থানা আমীর আমির হোছাইন, ইপিজেড থানা আমীর আবুল মোকাররম, ডা. এটিএম রেজাউল করিম, ডা. ইরফান উদ্দিন চৌধুরী, ডা. মোহাম্মদ নাছের, ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ প্রমুখ।