খালেদ মনছুর, আনোয়ারা
আনোয়ারা উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত যাননা ডাক্তাররা। সেবা নিতে আসা রোগীদের চিকিৎসা দেন নার্সরা। ফলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। এছাড়া সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোড়গোড়ায় চিকিৎসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে গ্রামীণ জনপদে কোটি টাকা খরচ করে যে স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তুলেছেন তার সুফল পাচ্ছেন না প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। উপজেলা সদর থেকে একটু দুরে হওয়ায় নির্দিষ্ট চিকিৎসক ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরই চিকিৎসা দিয়ে থাকেন বলে জানা গেছে।
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সংকটের কারণে ইউনিয়ন স্বস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে সব সময় চিকিৎসক পাঠানো সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যার হাসপাতাল। সে অনুপাতে চিকিৎসক নেই আমাদের। বর্তমানে সব মিলিয়ে চিকিৎসক আছেন ১৩ জন। অথচ একটি ৫০ শয্যার হাসপাতালে ৩০ জন চিকিৎসক প্রয়োজন। ফলে ডাক্তারদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়।
সরেজমিন গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় পরৈকোড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কোনো ডাক্তার নেই। লিটু পাল নামের একজন নার্স আগত রোগীদের ওষুধ দিচ্ছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার উপমা চৌধুরী আজকে আসেননি। তবে তিনি মাঝে মাঝে আসেন। গত সপ্তাহে একবার এসেছিল। আমার সাথে দেখা হয়নি।নার্স লিটু পাল বলেন, প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী আসে। এখানে আমি তাদের নামটা রেজিস্ট্রেশন করে ওষুধ দিয়ে থাকি। এখন বেশি আসে এলার্জির রোগী।
চিকিৎসা নিতে আসা রাহুল দাশ জানান, এখানে নার্স ছাড়া আরো একজন চিকিৎসা দেয় বলে শুনেছি। কিন্তু তাঁকে কখনো দেখিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিবার পরিতল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চিকিৎসক যাননা এরকম নয়। চিকিৎসক যায়, তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে চিকিৎসক সংকটের কারণে অনেক সময় পাঠানো যায় না। তবে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশেই আমার বাড়ি। সেখানে অনেক সমস্যা। আমি সেখানে যাব। গিয়ে স্বচক্ষে দেখে সমস্যগুলো সমাধানের চেষ্টা করব।