স্বাস্থ্য কার্ড পাচ্ছে চসিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত স্কুলসমূহে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে চালু হচ্ছে ‘স্কুল শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য কার্ড’। আগামী বুধবার কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন স্কুলে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে এ কার্যক্রমের। ওইদিন প্রাথমিকভাবে পাথরঘাটা সিটি কর্পোরেশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, গুল-এজার বেগম সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়, ইমারাতুন্নেসা কিন্ডার গার্টেন, পাঁচলাইশ কিন্ডার গার্টেন, কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় এ ৫টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। এ অভিজ্ঞতা থেকে পরবর্তীতে চসিকের বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার চসিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রস্তুতিমূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
মেয়র বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা শুধু অভিভাবকদের দায়িত্ব নয়, বরং প্রতিষ্ঠান ও সিটি কর্পোরেশনেরও দায়িত্ব। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিশুদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকাদান এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য নিবন্ধনের মাধ্যমে একটি স্বাস্থ্যবান প্রজন্ম গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এই স্বাস্থ্য কার্ডের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়কেও অবহিত করেছি। তিনি সিটি কর্পোরেশনের এ উদ্যোগের ভ‚য়সী প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, এই কার্ডের মাধ্যমে প্রতিটি শিশুর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়মিতভাবে মূল্যায়ন ও নজরদারি করা সম্ভব হবে। এতে করে আগাম রোগ শনাক্তকরণ ও সচেতনতা বাড়বে। এ উদ্যোগ শুধু চসিক নয়, দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও একটি উদাহরণ হয়ে উঠবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্টুডেন্ট’স হেলথ কার্ডটিতে শিক্ষার্থীর নাম, জন্ম তারিখ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, শ্রেণি, পিতা-মাতার নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বরসহ প্রয়োজনীয় সব পরিচিতিমূলক তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি কার্ডে পাঁচ বছর বয়স থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত মোট ১৪ বার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রেকর্ড রাখার সুযোগ রয়েছে। প্রতিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর ওজন, উচ্চতা, দাঁতের অবস্থা, চোখ ও কান পরীক্ষার ফলাফল, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য, রক্তচাপ এবং হিমোগ্লোবিন লেভেল লিপিবদ্ধ করা হবে। কার্ডের একটি পৃথক অংশে রয়েছে টিকাদান রেকর্ড, যাতে জন্মের পর থেকে নিয়মিতভাবে গ্রহণযোগ্য টিকাগুলোর তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন বিসিজি, পোলিও, হেপাটাইটিস-বি, এমআর, পেন্টাভ্যালেন্টসহ অন্যান্য অতিরিক্ত টিকা যেমন টায়ফয়েড, হেপাটাইটিস-এ, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং র‌্যাবিস।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ প্রণব কুমার চৌধুরী, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, বিভিন্ন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, চিকিৎসক এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ।