এম কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি
পাহাড়ের মানুষ আগে কিডনি জটিলতা বিষয়ক ডায়ালাইসিস সমস্যা নিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম যেতেন। এখন আর কিডনি রোগী নিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম যেতে হবে না। পাহাড়ের মানুষ ঘরে বসেই নিয়মিত কিডনি ল্যাব এন্ড ডায়ালাইসিস করতে পারবে। কিডনি ডায়ালাইসিস করতে আর দূওে নয়, নয় বেশি অর্থব্যয়- রাঙামাটির কালিন্দপুর সড়কে সরকার অনুমোদিত তিন পার্বত্য জেলার জন্য একমাত্র ননিতা কিডনি ল্যাব এন্ড ডায়ালাইসিস ইউনিট।
রাঙামাটি শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বিপরীতে নিউ মার্কেট সংলগ্ন জেলা পরিষদের সুপার মাকের্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় বেষ্টিত ননিতা কিডনি ল্যাব ডায়ালাইসিস ইউনিটের অস্থায়ী কার্যালয়ে চিকিৎসাবেসা দেওয়া হচ্ছে। এখানে কিডনি ডায়ালাইসিসসহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এখানকার সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা অত্যন্ত যত্নসহকারে করা হয়। দেশ পেরিয়ে বিদেশের গন্ডিতে পরীক্ষা – নিরীক্ষার সুনাম রয়েছে। ননিতা ডায়াগনস্টিক ল্যাবের রিপোর্ট ভারতের চেন্নাইতে তাদের রিপোর্টের সাথে ৯৯ ভাগ সফল হয়েছে। কিডনি রোগীর অভিভাবকরা প্রতিবেদককে জানান, রাঙামাটিতে কিডনি ডায়ালাইসিস করতে পেরে তাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। কম খরচে তারা ঢাকা ও চট্টগ্রামের সুবিধাসমূহ পাচ্ছে। একজন কিডনি রোগী ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিয়ে যেতে যে কষ্ট তা থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে তারা। ঘরের পাশে এ ধরনের সেবা পেয়ে অত্যন্ত খুশি তারা। ননিতা ডায়াগনস্টিক ও ল্যাব অত্যন্ত যতœ সহকারে রোগিদের কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা দিচ্ছে।
ননিতা কিডনি ল্যাব ও ডায়ালাইসিস ইউনিটের স্বত্ত্বাধিকারী ও সিইও হামির চাকমা বলেন, আমার স্ত্রীর কিডনি ডায়ালাইসিস করতে গিয়ে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। একজন কিডনি রোগী নিয়ে ঢাকা চট্টগ্রামে কি যে কষ্ট কেউ বাস্তবে না দেখলে বিশ্বাস করবে না। এ অভিজ্ঞতার আলো আমাকে এ প্রতিষ্ঠান গড়তে প্রেরণা যুগিয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে তেমন কোন ইনকাম না আসলেও কিডনি ডায়ালাইসিস রোগী সেবায় আমি স্বস্তি পাই। একজন কিডনি রোগীর জন্য ১৪৫ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে আমাকে। তার পরও আমি থেমে যাইনি। কারণ আমার লক্ষ্য উদ্দেশ্য হলো মানবসেবা। পাহাড়বাসী ও সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা পেলে প্রতিষ্ঠানটি বড় আকারে গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা করা হবে। আমার জানা মতে তিন পার্বত্য জেলায় আর কোন কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট নাই।










