রাউজান প্রতিনিধি
রাউজানে একের পর এক খুনের ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত সাড়ে আট মাসে ১২ জন খুন হয়েছেন। তার মধ্যে ৮ জনের প্রাণ গেছে রাজনৈতিক বিবাদে। এতে রাউজানের সাবেক সাংসদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দীন কাদের চৌধুরী এলাকার সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, শুম-খুন ও চাঁদাবাজি বন্ধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়ে লিখিত আবেদন করেন।
আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, রাউজান সাম্প্রদায়িকতামুক্ত ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ভরা এক অনন্য জনপদ। এ এলাকার জনসাধারণ বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্টদের অত্যাচারে এক নারকীয় বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে দিনাতিপাত করেছিল। চট্টগ্রামে ফ্যাসিবাদের অন্যতম গডফাদার, চট্টগ্রামে জুলাই-২০২৪ গণহত্যার মূল মাস্টারমাইন্ড ও একাধিক গণহত্যার সাথে জড়িত সাবেক এমপি ফজলে করিম রাউজানকে অবৈধ অস্ত্রের মিনি ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করেছিল। গুম-খুন, রাহাজানি, অত্যাচার, যৌননিপীড়ন, ধর্ষণ, ভূমি জবরদখল, সংখ্যালঘুর উপর নির্যাতন, সাধারণ মানুষকে বিতাড়নসহ এমন কোন ঘৃণ্য কাজ নেই যা তিনি করেননি। ফজলে করিমের এই কালো ইতিহাস শেষ হওয়ার পর জুলাই-২০২৪ বিপ্লব পরবর্তী সময়ে রাউজানে স্থিতিশীল পরিস্থিতি ফিরে এসেছিল। কিন্তু হঠাৎ অজানা কারণে বিগত কয়েক মাস যাবত দক্ষিণ রাউজানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। প্রতিনিয়ত এ এলাকায় গুম-খুন, অস্ত্রের মহড়া, লুটপাট, চাঁদাবাজি, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্যে এলাকাবাসীর মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। সম্প্রতি আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা রাউজানের জাতীয়তাবাদী দলে ঢুকে রাউজানে বেশ কয়েকটি হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে দক্ষিণ রাউজান এখন কিলিং জোন এবং দেশজুড়ে টক অব দ্যা টাউন-এ পরিণত হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, রাউজানবাসীর পক্ষ থেকে আমরা দক্ষিণ রাউজানে জুলাই-২০২৪ পরবর্তী চলমান এই নৈরাজ্য পরিস্থিতি বন্ধ করার লক্ষ্যে উক্ত এলাকাবাসীর জানমালের নিরাপত্তা বিধানে কিছু বিষয় দাবি আকারে উপস্থাপন করছি। এগুলো হলো দক্ষিণ রাউজানে একটি র্যাব বা যেকোনো বিশেষায়িত ইউনিট স্থাপন করা, রাউজানে নিয়মিত সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশি টহল জোরদার করা, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের আত্মগোপনকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারপূর্বক অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করার ব্যবস্থা করা।