নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর আকবরশাহ থানা এলাকায় স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা মামলায় স্বামীসহ দুজনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডিতরা হলেন ভোলা জেলার তমুজউদ্দীন থানার গোলকপুর এলাকার মো. ফরহাদ (৩২) ও মো. সেলিম ওরফে মনির (৩৭)। রায় ঘোষণার সময় দুজনেই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হত্যার শিকার জেসমিন বেগমের সঙ্গে আসামি মো. ফরহাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তারা ছয় লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন। জেসমিন ও ফরহাদ দুজনেরই আগে সংসার ছিল। ফরহাদ ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জেসমিনের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় দেখা করতে বলেন। সাক্ষাতের পর নগরীর আকবরশাহের নুর হোসেনের বাড়ি এলাকায় মামা সেলিমের সহায়তায় জেসমিনকে গলাটিপে হত্যা করেন ফরহাদ। এরপর পাহাড়ের ঝোপের মধ্যে মরদেহ ফেলে তারা চলে যান।
একই বছরের ২ অক্টোবর পুলিশ জেসমিনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জেসমিনের ছোট ভাই বাদী হয়ে নগরীর আকবরশাহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী ফরহাদ ও তার মামা মো. সেলিমকে মৃত্যুদন্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে মরদেহ গুম করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ডসহ অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।