ভাদ্রের মাঝামাঝিতে অস্বস্তিকর গরমের মধ্যে বৃষ্টি বাড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী ২-৩ সেপ্টেম্বর বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা। তিনি বলেন, এখন যেমন বৃষ্টি হচ্ছে, কাল-পরশুও এমন বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি কমার কারণে গরম বাড়ছে। খবর বিডিনিউজের
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়; রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে রাঙামাটিতে। এছাড়া চট্টগ্রামের আমবাগান ও কুমিল্লায় ৯ মিলিমিটার, নোয়াখালীর হাতিয়ায় ৮, বান্দরবানে ৭ মিলিমিটারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার আভাসও দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে। এসময় ঢাকার তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৫ ডিগ্রিতে। সাধারণত বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।