নিজস্ব প্রতিবেদক
সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বলেছেন, হালদা নদী আমাদের সবার। তাই এটিকে রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। কিন্তু আমরা তা না করে হালদার প্রতি অবিচার করছি। নদীর দুপাশ থেকে সব ধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলে হালদার অবস্থা দিন দিন খারাপ করে দিচ্ছি।
গতকাল হালদা নদী রক্ষা কমিটি আয়োজিত ‘হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস হেরিটেজ ঘোষণা: বর্তমান অবস্থা ও সংরক্ষণে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ১৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস হেরিটেজ ঘোষণা করবেন। আমাদের হালদা জায়গা করে নেবে জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে। এরপর আমাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে যাবে। এই জাতীয় ঐতিহ্য রক্ষার শুধু সরকারের নয়, আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে হালদা রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।
কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অব বাংলাদেশ (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, হালদা পৃথিবীর একমাত্র নদী যেখান থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে মাছের ডিম সংগ্রহ করা হয়। এটি একটি স্বীকৃত এতিহ্য। কিন্তু এমন ঐতিহ্য যদি আমরা হারিয়ে ফেলি, এটিকে রক্ষা করতে না পারি তাহলে এটি দেশেরই চরম ক্ষতি। তাই হালদা নদীকে রক্ষা বাঁচিয়ে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সেমিনারে হালদা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি গবেষক ড. মনজুরুল কিবরিয়া হালদা রক্ষায় করণীয় বিষয়ক একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন এবং হালদা রক্ষায় ২১ টি সুপারিশ উত্থাপন করা হয়। সেমিনারে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসাইন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেন ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস প্রমুখ।