একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি বলেছে, ভোটের মাঠ এবার ‘সমতল’ হবে বলে তারা আশা করছে। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল রবিবার পৃথক বিবৃতিতে তাদের এই আশার কথা বলেছেন।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ সোমবার থেকে ভোটের মাঠে থাকবেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। তারা কাজ করবেন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। অর্থাৎ প্রয়োজন মনে করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের তলব করবেন। এছাড়া ইভিএমের আসনগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন সেনা সদস্যরা। খবর বিডিনিউজের
বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে ভোটের মাঠে নামানোর দাবি জানালেও নির্বাচন কমিশন তাতে সাড়া দেয়নি। কামাল হোসেনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আশা করছি, সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের ফলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে যা এতোদিন বিদ্যমান ছিল না। সশস্ত্র বাহিনী সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি করবে এবং তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আমরা প্রত্যাশা করছি, সশস্ত্র বাহিনী জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে না অথবা কোনোভাবে ব্যক্তি বা একটি গোষ্ঠীর পক্ষে কাজ করবে না। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত এবং কোনো ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষার কারণে তাদের সুনাম বিনষ্ট করবে না’।
আলাদা বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি সেনা নিয়োগের ফলে নির্বাচনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি হবে, যা এতদিন মোটেও বিদ্যমান ছিল না। আমরা আশা করি, আমাদের দেশের গর্বিত সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য জনগণের স্বার্থের পক্ষে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন এবং কোনোভাবেই একজন ব্যক্তি বা একটি গোষ্ঠীর পক্ষে কাজ করবেন না’।
ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময়ই দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত; কোনো ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষার কারণে তাদের সুনাম ক্ষুন্ন হতে পারে না। নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আমি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি’।