সেচের মিঠাপানি সঙ্কটে ৭৫০০ হেক্টর বোরো আবাদ

0

সোহেল আজিম, পেকুয়া

পেকুয়া মেহেরনামা পয়েন্টে মাতামুহুরী নদীর উপর নির্মিত রাবারড্যাম উপচে পড়ে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করায় চকরিয়া- পকুয়ার প্রবহমান খালে লবণাক্ত পানির সয়লাব হয়ে গেছে। এতে সেচের পানির সংকটে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রান্তিক চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোলার খালের রাবারড্যামের ফুটব্রিজ নির্মাণের জন্য বাঁধ নির্মাণ করা হলে এ বাঁধটি কেটে পানি নামাতে দিচ্ছেনা ঠিকাদার।
এদিকে মাতামুহুরী নদীর ওপর রাবারড্যাম উপচে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে প্রধান খাল সহ অভ্যন্তরীন খালসমূহের সংরক্ষিত মিষ্টি পানি লবণাক্ত হয়ে পড়ায় বোরো চাষাবাদের জমিতে পানি দেয়া যাচ্ছেনা। পেকুয়া উপজেলায় ৭ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। রাবারড্যাম উপচে পড়ে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়লে পেকুয়া সদর বারবাকিয়া শিলখালী ইউনিয়নের বেশির ভাগ জমিতে সেচের পানি পাওয়া যাচ্ছেনা। একইভাবে চকরিয়ার কোনাখালী, ভেওলা মানিকচর, ডেমুশিয়ার চাষিরা প্রয়োজনীয় সেচের পানির সংকটে পড়েছে। পেকুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঈশার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভোলা খালের রাবার ড্যাম খুলে দিয়ে লবণাক্ত পানি বের করে ফেলার ব্যবস্থা নিতে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে জানানো হয়েছে। পেকুয়া সদরের কৃষক জেয়াবুল, রফিক, আমজাদসহ অনেক কৃষকরা জানিয়েছেন গত ১সপ্তাহ ধরে এ সংকট অব্যাহত থাকলেও কেউ কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কোনাখালীর অংশে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির সভাপতি জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নিয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান সহ উপস্থিত হয়ে লবণাক্ত পানি কোনাখালী আকতার মিয়ার ¯øুইস গেইট দিয়ে বের করা হচ্ছে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছে। মাতামুহুরী নদীর মিষ্টি পানি সংরক্ষণনর প্রধান অংশ হল ভোলা খাল। ভোলা খালের রাবারড্যাম
হাওয়া ছেড়ে দিয়ে লবণাক্ত পানি পশ্চিমে নামিয়ে ফেলা না হলে এই সমস্যার সামাধান সম্ভব নয় বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে। বোরো চাষাবাদের জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
পেকুয়া গোঁয়াখালী ভোলার খালের ওপর স্থাপিত রাবারড্যামের উপর ফুটব্রিজের নির্মাণকাজ বাস্তাবায়ন করার জন্যে দেয়া বাঁধ কেটে না দিলে লবণাক্ত পানি নামানো সম্ভব হবেনা। এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছেন দ্রæত বাঁধটি কেটে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান।