‘সেগুনবাগান মাদ্রাসার পরিচালক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ

2

 

গত ২৪ সেপ্টেম্বর দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় ‘সেগুনবাগান মাদ্রাসার পরিচালক-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা নিন্দা’ শীর্ষক সংবাদের নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বহদ্দারহাটে শহীদ হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় চন্দ্র তরুয়া হত্যা মামলার বাদি হাফেজ আজিজুল হককে নিয়ে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
হাফেজ আজিজুল হক বলেন, বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশিত সংবাদে আমার চরিত্র হননের উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে বলা হয়েছে- আমি সেগুনবাগান জালালিয়া মাদ্রাসার ইলেক্ট্রিশিয়ান। প্রকৃতপক্ষে জালালাবাদ তালিমুল কুরআন মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালকের পিএস হিসেবে কর্মরত রয়েছি। সেই সাথে আমি বায়েজিদস্থ জালালাবাদ তালিমুল কোরআন বড় মাদ্রাসার প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কর্মরত আছি। পরিচালকের পক্ষে মাদ্রাসার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চট্টগ্রামের আদালতে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে করা একটি মামলার বাদি, এখনও সেই মামলাটি পরিচালনা করছি। আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামের রাজপথে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিলাম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় চন্দ্র গুলিবিদ্ধ হবার সময় আমি একই মিছিলে ছিলাম। হৃদয়ের পরিবারের লিখিত সম্মতি ও ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আমি চান্দগাঁও থানায় ২০ সেপ্টেম্বর (মামলা নং-২৬) একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। প্রকৃতপক্ষে, একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন মাদ্রাসার পরিচালক মোহাম্মদ তৈয়ব। মিছিল সহকারে মুরাদপুর, বহদ্দারহাটে অবস্থান নিয়ে সেগুনবাগান, পাহাড়তলীর যুবলীগ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদেরকে সহযোগিতা করা হয়েছে। সেই মামলায় প্রত্যক্ষদর্শীর স্বাক্ষ্যের ভিত্তিতে তৈয়ব ও তার মেয়ে জামাইকে আসামি করা হয়েছে। আমি দীর্ঘ ষোল বছর যাবত তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের বিপক্ষে প্রতিবাদ করে আসছি। একারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের মতো আমাকেও বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছিলো ইয়াবা উদ্ধারের কল্পিত অভিযোগ দিয়েও।
সেই মামলায় এখনো আইনী লড়াই করছি আমি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় আমাকে জড়ানো হয়েছিলো। যেখানে একনম্বর আসামি ছিলেন হাফেজ মোহাম্মদ তৈয়ব। (সিআর-৫৬৪)। একই বাদি ২০২২ আরেকটি মিথ্যা মামলা দিয়েছিলো যেখানে আমিসহ মাদ্রাসা শিক্ষকরাও আসামি (সিআর-১৮৮)। এছাড়া ২০২২ সালে ধর্মান্ধ বড়ুয়া নামের এক ব্যক্তি আমিসহ মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আরেকটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছিলো। এই মামলার বাদি পূর্বের মামলার বাদির কেয়ারটেকার (সিআর-২০৬)। একই বাদির আরেক কেয়ারটেকার মোহাম্মদ হাসান অন্য একটি মিথ্যা মামলায় আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করে (সিআর-২৫৫)। বিজ্ঞপ্তি