চবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন করেছেন ইনস্টিটিউটটি। এতে বিভাগটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
গতকাল শনিবার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে নানা আয়োজনের মাধ্যমে এটি উদ্যাপিত হয়। ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ আফতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সমুদ্রবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ওশান স্যাটেলাইট নির্মাণের অগ্রগতির বিষয়টি তুলে ধরেন। উপাচার্য বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে চবির সমুদ্রবিজ্ঞান পরিবারের অবদান তুলে ধরে ইনস্টিটিউটের ভবিষ্যৎ ও বর্তমান সার্বিক কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান সমুদ্র অর্থনীতির বিশাল সম্ভাবনার দিক তুলে ধরে সমুদ্রসম্পদ রক্ষা ও সংরক্ষণের ব্যাপারে তরুণ সমুদ্রবিজ্ঞানীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য আহবান জানান।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন দেশের সার্বিক উন্নয়নে সমুদ্রবিজ্ঞানের গুরুত্ব তুলে ধরে একটি স্থায়ী সুনীল অর্থনীতি নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই ইনস্টিটিউটকে সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. শেখ আফতাব উদ্দিন সমুদ্রবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সার্বিক ইতিহাস তুলে ধরে চলমান অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উৎসবে বক্তব্য রাখেন মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাত হোসেন এবং ইনস্টিটিউটের ডিস্টিংগুইশড অ্যালামনাই সোহেল ইবনে সাত্তার। অনুষ্ঠানের শুরুতে সমুদ্রবিজ্ঞান চর্চার ৫৪ বছরের সাফল্যের উপর ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর একটি র্যালি ইনস্টিটিউট চত্ত্বর থেকে শহীদ মিনার হয়ে পুনারায় ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়।
দিনব্যাপী আয়োজনে আরও ছিল কেক কাটা, বেলুন উড়ানো, প্রাক্তন অ্যালামনাইদের স্মৃতিচারণ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ক্যাম্পাস ট্যুর, রাফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস দীর্ঘদিন ধরে সুনীল অর্থনীতির বিকাশে এবং সমুদ্র সম্পর্কিত জ্ঞান চর্চায় অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করে আসছে। সমুদ্র বিজ্ঞান এবং পরিবেশ রক্ষায় ধারাবাহিক গবেষণার পাশাপাশি বøু ইকোনমি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইনস্টিটিউটটি গত কয়েক দশকে অর্জন করেছে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।