‘সুফিবাদ চর্চা স্রষ্টার প্রেম লাভের পথ’

2

মাইজভান্ডারী তরিকার প্রবর্তক, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.)-এঁর জন্মদ্বিশতবার্ষিকী স্মারক কর্মসূচির অংশ হিসেবে দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিরি)-এর উদ্যোগে ‘ইনভাইটেড টক’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ নভেম্বর মাইজভান্ডার দরবার শরীফস্থ ডিরি কনফারেন্স হলে আয়োজিত সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল: ‘সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.)-এঁর উছুল-এ-ছাবআ (সপ্তপদ্ধতি) এর বিশেষ উল্লেখসহ সুফি বিজ্ঞানের (সুফিজম) ওপর কুরআনের প্রভাব’। ভারত, ইরান ও বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বিশেষজ্ঞগণ এতে অংশ নেন।
আলোচনা সভায় সেশন চেয়ার হিসেবে সভাপতিত্ব করেন ডিরি’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি শাহজাদা সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি সুফিবাদের মূল লক্ষ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য মাইজভান্ডারী দর্শনের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর উছুল-এ-ছাবআ’র বার্তা ও শিক্ষা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ও ফারসি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. ইশারাত আলী মোল্লা সুফিবাদের সার্বজনীন প্রেম এবং তৌহিদের দর্শন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সুফিবাদের শত্রু নেই, কারণ সুফিবাদ মানব প্রেম, সহনশীলতা ও মধ্যপন্থা অবলম্বনের শিক্ষা দেয়। সুফিরা স্রষ্টার প্রেম অন্তরে জাগ্রত করার কথা বলে, প্রেমের মাধ্যমে স্রষ্টাকে পাওয়ার কথা বলে। সুফিদের মাধ্যমেই এই উপমহাদেশে ইসলামের আগমন ঘটে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ভিজিটিং প্রফেসর ও ইরানের শিক্ষাবিদ মেহরান নাজাফি হাজিভার বলেন, সৃষ্টিকর্তা আমাদের কর্মকে দেখেন এবং সৃষ্টির দিকে তাকালেই স্রষ্টাকে উপলব্ধি করা যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নূর-এ-আলম বলেন, উছুল-এ-ছাবআর মধ্যে রয়েছে নৈতিকতা ও মানবতা। এই সপ্তপদ্ধতির মাধ্যমেই স্রষ্টাকে লাভ করার নির্দেশনা রয়েছে। সুফিরা মানুষকে ধর্ম-বর্ণ দিয়ে ভাগ করে না, বরং সকলকে ভালোবাসে।
আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওসমান মেহেদী মাইজভান্ডার দরবার শরীফের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশে অন্যতম জাগ্রত দরবার হচ্ছে মাইজভান্ডার দরবার। অনুষ্ঠানে ডিরি’র বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক এবং মাইজভান্ডারী ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি