সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহালে জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বিচারপতিদের

2

সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহালের বিষয়টি ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। গতকাল রোববার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, রিভিউ মামলায় নিষ্পত্তির মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরায় কার্যকর হয়েছে। এটা নিয়ে কিছুটা কনফিউশন ছিল। এখন আদালতের রায়ের কারণে এই কনফিউশন দূর হয়েছে। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এখন পুরোপুরি অপারেশনাল করা যাবে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে, এই সময়ে এটার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। আমাদের হাইকোর্টে কিছু বিচারক আছেন, ওনাদের ব্যাপারে সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রচুর কমপ্লেইন রয়েছে। ওনারা জুলাই গণবিপ্লবে যে ফ্যাসিস্ট শক্তি ছিল, সেই শক্তির নিপীড়ক যন্ত্রে পরিণত হয়েছিলেন। কারও কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। এজন্য ছাত্র-জনতার ক্ষোভ রয়েছে। এসব ক্ষোভ সাংবিধানিকভাবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার একটা রাস্তা বের হয়েছে।
আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমানে উচ্চ আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন। উচ্চ আদালত তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবেন। আমরা এখন মনে করি যে, ছাত্র-জনতা তাদের অভিযোগ উপস্থাপনের জন্য একটা উপযুক্ত ফোরাম পেলো। এটা আমি খানিকটা ইতিবাচক হিসেবে দেখতে চাই।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল অলরেডি সংবিধান অনুযায়ী গঠন করা আছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, এটা হচ্ছে প্রধান বিচারপতি এবং আপিলেট ডিভিশনের সিনিয়র যে দুজন বিচারক আছেন, তাদের নিয়ে এ কাউন্সিল গঠিত হয়। এখন আপনি যদি আজকেই অভিযোগ করেন, তারা কালকেই এই প্রসেসটা শুরু করে দেবেন। কমপ্লেইন থাকতে হবে। এটা আলাদা করে নোটিফিকেশন দেওয়ার দরকার নাই। সংবিধানে বলাই আছে, কীভাবে গঠিত হবে।
তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল যখন ছিল না, তখন উচ্চ আদালতের বিচারকদের জবাবদিহির ফোরামটা ছিল না। আরেকটা হচ্ছে এই জবাবদিহির ইচ্ছাও উচ্চ আদালতের প্রশাসনের মধ্যে ছিল না। ওনাদের ফরমায়েশি রায় হচ্ছিল।
আসিফ নজরুল আরও বলেন, আপনারা জানেন যে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে রায় হয়েছে, তারেক রহমানকে বাংলাদেশে কথাই বলতে দেবে না, এরকম একটা বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করার রায় হয়েছে। আরও অনেক রায় হয়েছে। অনেক মানুষ তাদের কাছে গিয়ে মানবাধিকার রক্ষা করার সুযোগ পায়নি। উল্টো নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। ভিন্নমত নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এখন সেই জবাবদিহি নিশ্চিত করার মতো সদিচ্ছা বর্তমানে যারা আছেন, তাদের আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। সদিচ্ছা বাস্তবায়নের ফোরামটাও পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। এজন্য এটাকে ইতিবাচক বলে মনে করি।