সীমানা নিয়ে দুই থানার দ্বন্দ্বে উদ্ধারে ৮ ঘণ্টা দেরি

0

কর্ণফুলী প্রতিনিধি

আনোয়ারা-কর্ণফুলীর থানার সীমান্তবর্তী এলাকায় খালে গতকাল বুধবার ভাসছিল অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ। আনোয়ারা থানা ও কর্ণফুলী থানা পুলিশের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় লাশটি উদ্ধারে ৮ ঘণ্টা দেরি হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়দের দাবি, বিকেলেই লাশটি খালে ভাসতে দেখা গেলেও আনোয়ারা ও কর্ণফুলী থানার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে টানাপোড়েনের কারণে উদ্ধার অভিযান শুরু হতে দেরি হয়।
দীর্ঘ সাড়ে ৭ ঘণ্টা পর রাত ৮টার দিকে দৌলতপুর ফাজিল খার হাটের পূর্ব পাশে মহতুপাড়া খাল থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
স্থানীয় মামুন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুপুর ১২টার দিকে ফ্রেন্ড ডেইলি ফার্র্মের পাশে খালে একটি লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এসময় সীমানা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে লাশটি কর্ণফুলী থানা এলাকায় দাবি করে আনোয়ারা থানা পুলিশ চলে যায়।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। খালের মাঝখানে লাশটি ছিল। খালটি দুই থানার সীমান্ত এলাকায় পড়ায় আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। পরে বুঝতে পারি লাশটি কর্ণফুলী থানা এলাকায় পড়েছে।
পরবর্তীতে কর্ণফুলী থানা পুলিশ দীর্ঘ সাড়ে ৭ ঘন্টা পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করে।
কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শরীফ হোসেন বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের পর আমাদের ওসি (তদন্ত) ঘটনাস্থলে গিয়ে নিশ্চিত হন যে লাশটি আনোয়ারা থানা এলাকায় পড়েছে। তারপরও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কর্ণফুলী থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।