সীতাকুন্ডে ৪৪ অভিযানে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

2

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সাগরে ইলিশের অবাধ বিচরণ ও ডিম ছাড়ার সময় ছিল গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর। এই সময় সাগরে জাল ফেলা ও মাছ ধরা ছিল নিষিদ্ধ। কিন্তু নিষিদ্ধ সময়েও অনেক জেলে অবৈধভাবে মাছ ধরেছেন। এর বিরুদ্ধে সীতাকুন্ডে পৃথক অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা।
জানা গেছে, সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ও সীতাকুন্ড উপজেলা মৎস্য অফিসের তদারকি ছিল লক্ষণীয়। ২২ দিনে ৪৪টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। যা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যোগ হয়েছে।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মৎস্য অফিসের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ৩টি। এতে ১৪ জন জেলেকে ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে সাথে নিয়ে মৎস্য অফিস অভিযান পরিচালনা করেছে ৪৪টি।
নৌ-পুলিশ ১১ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। এর মধ্যে জাল জব্দ করেছে চিংড়ি পোনার ১৫টি (হাজার মিটার) এবং ইলিশের জাল ১৬টি (৩৩ হাজার মিটার)। মাছ ধরার বোট জব্দ করা হয়েছে ১৫টি। আর জব্দকৃত বোটের জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। মোট জরিমানা ৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। অভিযানে ইলিশ জব্দ করা হয় ৮.৬৫ মে. টন। জব্দকৃত মাছগুলো উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে।
সীতাকুন্ড উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোতাছিম বিল্লাহ জানান, জনবল সংকট ও নানা অসঙ্গতি থাকার সত্বেও সীতাকুন্ড উপজেলায় এই প্রথম সর্বোচ্চ জরিমানা ও ইলিশ আটক করা হয়েছে। ৪৪টি অভিযানে ৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছি। একইভাবে সাড়ে ৮ টনের অধিক ইলিশ মাছ জব্দ করেছি। তারপরও কিছুটা ঘাটতি আমাদের ছিল। যেমন জনবল সংকট, পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকা এবং বাজেটের অভাব। এছাড়া এখানে কিছু সিন্ডিকেট রয়েছে। সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় জেলেরা নিষিদ্ধ সময়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। জেলেদেরকে যখন আইনের আওতায় আনা হয়, তখনই সিন্ডিকেটের লোকজনই তাদেরকে টাকা-পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করেন। ইনশাআল্লাহ, সামনের দিনে এ সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে সফল হবো।
তিনি বলেন, চেষ্টা করেছি কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশকে সাথে নিয়ে প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করতে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফখরুল ইসলাম স্যারের তত্ত¡াবধানে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় এসব অভিযান পরিচালিত হওয়ায় আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আশা করছি, আগামী বছর সীতাকুন্ডবাসী ভালো ইলিশ মাছ পাবেন।