সীতাকুন্ডে সন্ত্রাসী হামলায় জামায়াতের সভা পন্ড

2

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সীতাকুন্ডে সন্ত্রাসীদের দুর্বৃত্তের হামলায় জামায়াতের সভা পন্ড হয়ে গেছে। এক শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার বিকেলে এই সভার আয়োজন করেছিল জামায়াত। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিকী চৌধুরী।
জানা গেছে, গতকাল বিকালের দিকে জঙ্গল সলিমপুর এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সভায় নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। সভা শুরুর আগ মুহূর্তে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় উপজেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারিসহ ১০ নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়া ৪ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ ও আহত নেতাকর্মীদের উদ্ধার করেন।
জামায়াত নেতা মু. কুতুব উদ্দিন শিবলী বলেন, জঙ্গল সলিমপুর এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলামকে গত বুধবার রাতে নিজবাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসীরা মারধর করে। তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এর প্রতিবাদে আমরা সলিমপুর ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে শুক্রবার সভার আয়োজন করি। জুমার নামাজের পর থেকে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হতে থাকেন। বিকাল ৪টার দিকে সভা শুরুর আগ মুহূর্তে ১৫/২০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সমাবেশ উপস্থিত হয়। এরপর তারা অতর্কিত গুলি ছুঁড়ে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে সভা পন্ড করে দেয়।
এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলী, আব্দুস সালাম এবং আমিসহ ১০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হন। অবরুদ্ধ করে রাখা হয় প্রধান অতিথি উত্তর জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরীসহ ৪ নেতাকর্মীকে। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমি নিজেও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছি। এই ঘটনার জন্য স্থানীয় চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী লাল বাদশা, আমজাদ ও রিদোয়ান দায়ী।
সীতাকুন্ডের ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সোহেল রানা বলেন, ‘একটি প্রতিবাদ সভাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দুই পক্ষকে লাঠি সোটা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান দেখতে পাই। আমরা উভয় পক্ষকে শান্ত করি। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করি। হামলায় জামায়াতের ৩ জন নেতাকর্মী ও অন্য একজন আহত হন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।