সীতাকুন্ডে শিশুসহ পাঁচজন ইতালীফেরত ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাদের কেউ কেউ স্ব স্ব উদ্যোগে আবার কেউ কেউ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে হোম কোয়ারেন্টিনে গেছেন বলে স্বীকার করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. নুর উদ্দিন। গত ৯ মার্চ থেকে গতকাল ১৭ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
জানা যায়, বিশ্বব্যাপি নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারা দেশে আতঙ্ক বিরাজ করলেও বাংলাদেশে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিশেষ করে ইতালী ফেরত বিমানের যাত্রীদের করোনা ভাইরাস শনাক্ত করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় সীতাকুন্ডে শিশুসহ পাঁচ ইতালী ফেরত ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
সীতাকুন্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাদের প্রাথমিক সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকাবাসিকে আতঙ্কিত না হয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগ্রহণের পরামর্শ প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, ‘ইতালী ফেরত পাঁচ প্রবাসিকে আমরা হোম কোয়ারেন্টিনে রেখেছি। তবে পাঁচজনের কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে যেদিন যার কোয়ারেন্টিন শেষ হবে সেদিন থেকে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবেন তারা’।