সীতাকুন্ডে যৌন হয়রানির দায়ে শিক্ষক বরখাস্ত

2

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সীতাকুন্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গেস্ট টিচার) হিমেল শর্মা রানাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে.এম রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, গত বুধবার সীতাকুন্ড গার্লস স্কুলের ছাত্রীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে আমার বরাবর শিক্ষক হিমেল শর্মার বিরুদ্ধে যৌন ও অশালীন আচরণের অভিযোগ এনে একটি দরখাস্ত দেন। এরপর আমি তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করি। সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) প্রধান করে কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেনউপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলার শিক্ষা অফিসার।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে গত ৩১ আগস্ট হিমেল শর্মাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর ১ সেপ্টেম্বর তদন্তের জন্য শুনানির তারিখ ধার্য থাকায় বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে নোটিশ প্রদান করা হয়। শুনানিকালে শিক্ষার্থীদের বক্তব্য গ্রহণের মাধ্যমে অভিযুক্ত হিমেল শর্মার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হই। অভিযুক্ত শিক্ষককে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য নোটিশ প্রদান করা হলেও তিনি উপস্থিত না হয়ে তার মায়ের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু হিমেল শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। একই সাথে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র দিয়েছেন, তাই তার পদত্যাগপত্রটি গ্রহণপূর্বক তাকে সহকারী শিক্ষকের (ব্যবসায় শিক্ষা) পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সীতাকুন্ড প্রতিনিধি ইমরান খান বলেন, ২৬ জন ছাত্রী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে একটি অভিযোগপত্র দেন। এরপর আমরা শিক্ষককে সম্মানের সাথে পদত্যাগ করতে বলি। কিন্তু তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। এরপর ছাত্রীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দরখাস্ত দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এরপর কমিটির শুনানি শেষে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়। এরপর তাকে বরখাস্ত করা হয়। এখন আমরা তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিব, যাতে তিনি ভবিষ্যতে আর কোন স্কুলে চাকরি করতে না পারেন।