সীতাকুন্ডে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন মামলা দায়ের

1

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সীতাকুন্ডে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। গতকাল সীতাকুন্ড মডেল থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২০২৩ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকার আবদুস সাত্তারের মেয়ে সানজিদা আক্তার লিজার সাথে সীতাকুন্ডের উত্তর বাঁশবাড়িয়ার মনু ফকির বাড়ির মো. মানিকের পুত্র মো. মুজিবের সাথে বিয়ে হয়। কিছুদিন সংসার জীবন ঠিক থাকলেও পরে লিজার ওপর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্নভাবে যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। মোটরসাইকেল কেনার জন্য লিজার স্বামী মুজিবকে নগদ এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর ফের যৌতুকের জন্য লিজাকে মারধর করেন স্বামী। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন লিজা। পরে সংসারের কথা চিন্তা করে তিনি মামলাটি তুলে নেন। মামলা তোলার পর বিভিন্নভাবে লিজাকে নির্যাতন শুরু করে স্বামী ও শ্বশুর পরিবারের লোকজন। কিছুদিন ধরে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে আরও এক লাখ টাকা দেওয়ার জন্য দাবি করা হয়। লিজা এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আবারও মারধর শুরু করে। মারধরের সময় লিজাকে ঘুষি মারলে একটি চোখে মারাত্মক জখম হয়। এছাড়া তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন স্বামী। পরে লিজার পিতা মামলার বাদী আবদুস সাত্তার পুলিশ নিয়ে মেয়ের শশুর বাড়িতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে আবদুস সাত্তার জানান, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে জামাই। এরপর মোটরসাইকেল কেনার জন্য তাকে এক লাখ টাকা প্রদান করি। যাতে মেয়ের সংসারে অশান্তি না হয়। এখন ঈদ উপলক্ষে এক লাখ টাকা দাবি করছে। আমার মেয়ে দিতে পারবে না বলে জানালে জামাই ও তার শ্বশুর মিলে মেয়েখে কিল-ঘুষি মেরে চোখে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে। খবর পেয়ে আমি পুলিশের সহযোগিতায় মেয়েকে উদ্ধার করে সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। আমি এই যৌতুকলোভী পরিবারের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনে আমরা প্রথমে লিজাকে উদ্ধার করি। তার বাবা বাদী হয়ে স্বামীসহ দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।