সীতাকুন্ডে প্রাণ গেল মাইক্রোবাস আরোহী শালী-দুলাভাইয়ের

1

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

ঢাকা বংশাল ও নারায়ণগঞ্জ থেকে মাইক্রোবাসে করে পরিবারের একটি গ্রুপ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশের ফৌজদারহাট বাংলাবাজার এলাকা অতিক্রমকালে পরিবারটির বহনকারী মাইক্রোবাসের চালক ঘুমন্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ড্রাম ট্রাককে সজোরে পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুছড়ে গিয়ে মাইক্রোবাসে থাকা আরোহী নারায়ণগঞ্জের সৈয়দপুর এলাকার হাজী কালামিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৬৬) এবং আনোয়ার হোসেনের শ্যালিকা ঢাকা বংশাল থানার নাজিরা বাজার এলাকার মো. ইমতিয়াজ হোসেনের স্ত্রী বিবি রহিমা হোসেন (৫৫) মৃত্যুবরণ করেন। নিহত দুজন সম্পর্কে শালী-দুলাভাই। একই ঘটনায় আহত হন একই পরিবারের আরোহী কাজী রিয়াদ ও মাইক্রোবাসটির চালক। গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সলিমপুরস্থ ফৌজদারহাট ক্যডেট কলেজ বাংলাবাজার নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঢাকা বংশাল ও নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি পরিবার মাইক্রোবাসযোগে কক্সবাজার বেড়াতে যাচ্ছিল। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট বাংলাবাজার নামক এলাকা অতিক্রমকালে ঘুমন্ত মাইক্রোচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ড্রাম ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে ও উল্টে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসে থাকা বৃদ্ধ আনোয়ার হোসেন মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনার খবর পেয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত আরও তিনজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠালে সেখানে বিবি রহিমা নামে আরেকজন মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া চালকসহ দুইজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত আনোয়ার হোসেনের ছেলে তালহা বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত একজন আমার বাবা ও একজন আমার খালা। মনে হচ্ছে মাইক্রোবাস চালকের চোখে ঘুম আসায় এই দুর্ঘটনা। পুরো পরিবারের সবাই মিলে কক্সবাজার বেড়াতে যাচ্ছিলাম। ঘটনার আকস্মিকতায় গাড়িতে থাকা পরিবারের অন্যরাও হতভম্ব।
সীতাকুন্ডের কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে একজনকে নিহত ও তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। পরে হাসপাতালে আরও একজন মহিলা মৃত্যুবরণ করেছে। গাড়িতে আত্মীয়-স্বজনসহ ৮ জন ছিলেন। অন্যরা সামান্য ব্যথা পেয়েছেন । তারা আমাদের জানিয়েছেন চালক ঘুম চোখে গাড়ি চালাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সীতাকুন্ডের বার-আউলিয়া হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মো. আব্দুল মুমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাইক্রোবাসটি দাঁড়িয়ে থাকা ড্রাম ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেওয়ায় ঘটনাস্থলেই এক বৃদ্ধ এবং হাসপাতালে অপর এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু দুর্ঘটনা কবলিত নিহত ও আহতদের পরিবারের কোন অভিযোগ নেই, আমরা গাড়িগুলো ছেড়ে দিয়েছি। লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।