সিলেটে শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে শিশু, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও পুলিশসহ অন্তত শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় নগরীর আখালিয়া এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষ চলছিল। সংঘর্ষের সময় অন্তত আটজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনকারীরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচিতে অংশ নিতে বেলা ৩টার থেকে সুরমা আবাসিক এলাকায় শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। একই সময়ে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন। এ পর্যায়ে উভয় দিকের শিক্ষার্থীরা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযু্িক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জড়ে হয়ে মিছিল করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন শিক্ষার্থীরা আবার সুরমা এলাকায় গিয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর বিডিনিউজ’র
বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের কয়েকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছুড়লে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরে তা বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে আন্দোলনকারীরা সড়কে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে সুরমা আবাসিক এলাকায়, মদীনা মার্কেট, আখালিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও কুমারগাঁও এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
এ সময় এক শিশু গুলিবিদ্ধ হলে তাকে মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয় বলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান।
মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, “১২ বছরের একটি শিশুর গলায় ছররা গুলি লেগেছে। অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হবে। তবে আপাতত সে আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, “শিশুসহ আন্দোলনে আমাদের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পুলিশ আমাদের পেছন থেকে হামলা করেছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, “কিছু দুষ্কৃতকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় তারা ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আমাদের ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া আটজনকে আটক করা হয়েছে।”