আইনজীবী হত্যার বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সের প্রকাশিত প্রতিবেদনে পুলিশের বক্তব্য উপস্থাপন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এ বিবৃতির পর রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বক্তব্য সংশোধন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) রইছ উদ্দীন এ বিবৃতি দেন। খবর বাংলানিউজের
বিবৃতিতে বলা হয়, সনাতন জাগরণ মঞ্চের নেতা চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার ও জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণ ও তার আশপাশের উদ্ভূত পরিস্থিতির উপর বিদেশি সংবাদমাধ্যম রয়টার্সে ২৭ নভেম্বর প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার লিয়াকত আলী খানকে উদ্ধৃত করে একটি বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। রয়টার্স বা কোনো সাংবাদিক এই বিষয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী খানের সাথে কথা বলেননি। ঘটনার সময়ে তিনি আদালত প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজে দায়িত্বরত ছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, লিয়াকত নামে চট্টগ্রামে চার জন কনস্টেবল আছে। তারাও কাউকে কোনো বক্তব্য দেননি। কারো বক্তব্য গ্রহণ না করেই নিজেদের মনগড়া বক্তব্যকে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য বলে চালিয়ে দেওয়া সাংবাদিকতার নীতিমালা পরিপন্থী। ভবিষ্যতে রয়টার্সসহ সকল গণমাধ্যম এই ধরনের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।
বিবৃতির বিষয়টি করে সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় পুলিশের একটি বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করায় উল্লেখিত পুলিশ কর্মকর্তা কোথাও বক্তব্য দেননি। তাই কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এদিকে সিএমপির বিবৃতি প্রকাশের পর রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বক্তব্য সংশোধন করা হয়েছে।