ব্যবসায় বিশেষ অবদান রাখায় দেশের ১৩৭ জন পেয়েছেন কমার্শিয়াল ইমপর্টেন্ট পারসন (সিআইপি) কার্ড। রফতানি বাণিজ্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাদের এই কার্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিআইপি (বাণিজ্য) নির্বাচিত হয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৪১ পরিচালক। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এর আগে এ দিন বিকেল ৩টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনের অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশ সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। ১৯৭২ সালে ২৫ পণ্যে রফতানি আয় ছিল মাত্র ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রফতানি আয় হয়েছে ৪১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে আমাদের রফতানি টার্গেট ৪৪ বিলিয়ন। এ জন্য সরকার নতুন নতুন পণ্যও প্রণোদনা দিচ্ছে। যাতে করে রকমারি পণ্যের রফতানি বাড়ে। সরকার নতুন নতুন বাজার সৃষ্টির জন্যও ক্যাশ প্রণোদনা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশ বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে একটি স্বাধীনতার চেতনার মূল্যবোধে বিশ্বাসী শক্তি। আর তাদের নেতৃত্বে দেশ সকল খাতে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন আপনার বিবেক ও বিবেচনা দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলামসহ ইপিবি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কার্ডপ্রাপ্তদের কয়েকজন হলেন- পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান আহমেদ, বাবুল জুট ট্রেডিংয়ের মালিক নুরুল ইসলাম বাবুল, রেজা জুট ট্রেডিংয়ের সেলিম রেজা, জনতা জুট মিলস লিমিটেডের এমডি নাজমুল হক, কুলিয়ার চর সি ফুডের চেয়ারম্যান মুুছা মিয়া, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের এমডি অঞ্জন চৌধুরী প্রমুখ। যারা কার্ড পেয়েছেন তারা ২০১৬ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন।-খবর বার্তাসংস্থা