বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি এম.এ হাশেম রাজুর নেতৃত্বে শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবর জেয়ারত শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে গিয়ে ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী আপোষহীন ও নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তিনি শহীদ জিয়ার আদর্শ, ইসলামী মূল্যবোধ ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ও ভারতীয় তাবেদারের বিরুদ্ধে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সিংহ পুরুষের ভূমিকা পালন করেছিলেন। শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী কখনো যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না। তিনি ছিলেন মূলত সা¤্রাজ্যবাদী ও স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার ও ভারতের আতংক। তাই এই নিরাপরাধ দেশপ্রেমিক মানুষটাকে দেশের মাটি ও মানুষের জন্য জীবন দিতে হলো।
হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মত দেশপ্রেমিক নেতা এই উপ-মহাদেশে শত বছরেও জন্ম নিবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কর্মসূচি বুকে ধারণ করে দলের জন্য দেশের মানুষের জন্য আজীবন কাজ করেছেন। তিনি বেঁচে নাই একথা ভাবার কোন কারণ নেই। বাংলাদেশের মানচিত্রে স্বাধীন পতাকা যতদিন থাকবে ততদিন তার নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
আমার দীর্ঘ রাজনীতির জীবনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তিনি শুধু চট্টগ্রাম নয় সারা বাংলাদেশের সাহসি বীর পুরুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এই নিরাপরাধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সিংহ পুরুষ চৌধুরীকে শেখ হাসিনা ও ভারত মিলে ফাঁসি দিয়েছিলেন হাসিনা সরকার নিরাপদে সারা জীবন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে রাখার জন্য। কিন্তু সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যে লক্ষ্যে পৌঁছানের জন্য জীবন দিয়েছিলেন সে লক্ষ্য ৫ই আগস্ট ২০২৪ এ শতশত মায়ের বুক খালি হওয়ার মধ্যদিয়ে সফল হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সন্তান সামীর কাদের চৌধুরী, বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী জসিম, মোহাম্মদ সেলিম কায়সার, ডা. হারুনুর রশিদ আকাশসহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীবৃন্দ।