পূর্বদেশ ডেস্ক
সরকার বদলের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, স্থাপনায় হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলো সাম্প্রদায়িক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বুধবার দুর্গাপূজার ষষ্ঠীতে ঢাকেশ্বরী কেন্দ্রীয় পূজামন্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকেশ্বরী পূজামন্ডপে পৌঁছালে মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক তাপস চন্দ্র পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা বিএনপি নেতাদের স্বাগত জানান। মির্জা ফখরুল মন্ডপ পরিদর্শন এবং সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় ৮ দফা দাবি তুলে ধরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা বলেন, আমাদের ওপর যেসব অন্যায় হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে আমরা তার ন্যায়বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। খবর বিডিনিউজের।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা যে ৮ দফার কথা বলেছেন সেই ৮ দফা আমরা বিবেচনা করছি, এর যে মূল বিষয়টি সেটার প্রতি আমাদের সর্বাত্মক যে সহানুভ‚তি সেটা আমাদের রয়েছে। আমরা এই কথাটা বলতে পারি আগামীতে আমাদের সরকার যখন প্রতিষ্ঠিত হবে, আপনারা জানেন এটা আমাদের সরকার নয়, এটা একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমাদের সরকার আসলে প্রতিটি ঘটনার আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত করে বিচারের ব্যবস্থা করবই।
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে এই বিশাল পরিবর্তনের ফলে সারা দেশের মানুষ যখন আনন্দিত হয়েছে, যখন পরিবর্তনের একটা আকাক্সক্ষা সৃষ্টি হয়েছে, আশা তৈরি হয়েছে সেই সময়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিদেশি কিছু মিডিয়া, কিছু প্রচারমাধ্যম, তারা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছে, যা একেবারেই সত্য নয়। ঘটনা ঘটেনি সেকথা আমি বলব না। কিছু ঘটনা ঘটেছে তা কোনো সাম্প্রদায়িক ঘটনা ছিল না, তা ছিল রাজনৈতিক ঘটনা।
তিনি বলেন, আমি আজকে এখানে এসেছি, আমার দলের পক্ষ থেকে, দলের চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই শারদীয় দুর্গাপূজা আপনাদের জীবনে অনাবিল আনন্দ নিয়ে আসুক, একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করুক, বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই একটা সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক, এই কামনা করছি, এই প্রত্যাশা করছি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির যুব বিষয়ক সহ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, ধর্ম বিষয়ক সহ সম্পাদক অমলেন্দু দাশ অপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ সেখানে বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের ইসহাক সরকার, হামিদুর রহমান হামিদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সদস্য সচিব তপন দে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।