সামশুসহ ৫০ জনের ব্যাংক হিসাব চেয়েছে দুদক

34

অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অভিযোগ আসা ৫০ জনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত সপ্তাহ থেকে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটে (বিএফআইইউ) চিঠি পাঠানো শুরু করেছে সংস্থাটি।
গতকাল সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুদকের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরে চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের কার কয়টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে, সেখানে কত টাকা রয়েছে এবং কবে কার সঙ্গে লেনদেন হয়েছে সেসব তথ্য জানতে চেয়ে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। খবর বাংলানিউজের
সূত্রটি জানায়, ৫০ জনের এ তালিকায় রয়েছেন, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ‘অব্যাহতিপ্রাপ্ত’ সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণ মহানগরের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বহিষ্কৃত কাউন্সিলর, যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সম্পাদক ও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটির কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সফিকুল আলম ফিরোজ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও সহ-সম্পাদক রুপন ভূইয়া, যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার জি কে শামীম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও বর্তমান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাই।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ ক্যাসিনোতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব। এরপর থেকে গ্রেফতার হয়েছেন যুবলীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা।
ক্যাসিনো পরিচালনায় জড়িতদের সম্পদের অনুসন্ধানে অভিযান পরিচালনার ১২ দিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধান দল গঠন করে দুদক।
দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খানকে তদারক কর্মকর্তা ও পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। যার অন্য সদস্যরা হলেন- দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সালাউদ্দিন আহম্মেদ, সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজী ও মামুনুর রশিদ চৌধুরী।