চন্দনাইশ প্রতিনিধি
চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি এলাকায় স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমকে কেন্দ্র করে মারামারিতে প্রাণ গেছে সাবেক স্বামী শহিদুল ইসলামের। আহত হয়েছেন বর্তমান স্বামী মহিবুল্লাহ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় একটি পাহাড়ে কাঠ কাটতে গেলে দুই স্বামী মারামারিতে লিপ্ত হলে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, ধোপাছড়ি মাঈনিরছড়া এলাকার আবু ছালেকের ছেলে শহিদুল ইসলামের (৩২) স্ত্রী তসলিমা খাতুনের সাথে রহমতুল্লাহ’র ছেলে রোহিঙ্গা নাগরিক মহিবুল্লাহ’র (৩২) পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পক্ষের মধ্যেই বিরোধ সৃষ্টি হয়। ফলে শহিদুল ইসলামের সাথে ৩ মাস আগে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে তসলিমার। পরবর্তীতে মহিবুল্লাহ তসলিমাকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন।অন্যদিকে শহিদুল ইসলামও আরেকটি বিয়ে করেন। তবে পরকীয়ার কারণে সৃষ্ট বিরোধ চলে আসছিল দুই পক্ষের মধ্যেই।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে দু’জনই পাহাড়ে কাঠ সংগ্রহে যান। এসময় তাদের দেখা হয় ও বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে দু’জনই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় মহিবুল্লাহ’র আঘাতে শহিদুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়ে পাহাড়ে পড়ে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, মহিবুল্লাহ আহত অবস্থায় দুপুরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তবে বিকাল পর্যন্ত শহিদুল বাড়িতে না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় পাহাড়ে অজ্ঞান অবস্থায় পেয়ে স্বজন ও স্থানীয়রা চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শহিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ শহিদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রস্তুত করে। পরবর্তীতে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হবে বলে জানান চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, পরকীয়া প্রেমের জেরে সৃষ্ট বিরোধ ও পাহাড়ে মারামারিতে শহিদুলের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। তদন্ত চলছে। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।