চকরিয়া প্রতিনিধি
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে পুনরায় ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পেকুয়া থানা পুলিশ। এর আগে গতকাল বুধবার সকালে চকরিয়া থানার ৫ মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে জাফর আলমকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে চকরিয়া থানা পুলিশ। এ সময় পেকুয়া থানায় দায়ের করা একটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক এমপি জাফর আলমের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল কবির।
চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্তব্যরত পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুন সাবেক এমপি জাফর আলমকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এদিন তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ৭টি মামলায় রিমান্ড শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল কবির চকরিয়া থানার ৫ মামলায় ১৪ দিন এবং পেকুয়া থানার দুই মামলায় ৪ দিনসহ ৭ মামলায় সর্বমোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল বুধবার পেকুয়া থানার অপর একটি মামলায় নতুন করে আরো ৩ দিনের মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ৩ মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডের জন্য সাবেক এমপি জাফর আলমকে আদালত থেকে পেকুয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) গোলাম সরওয়ার বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের বটতলী শফিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টকে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ব্যালেটে সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় জাফর আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বুধবার আদালতের কাছে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সাবেক এমপি জাফর আলমকে ৭ দিনের রিমান্ডের জন্য আদালত থেকে পেকুয়া থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। জাফর আলমের রিমান্ড চলাকালীন নিরাপত্তার জন্য পেকুয়া থানা পুলিশ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।
