সাবেক এমপি ও পৌর মেয়রসহ আসামি ১৭৮

1

চকরিয়া প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিএনপির মিছিলে গুলি করে মো. মিজানুর রহমান নামে এক যুবদলকর্মীকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার ১১ বছর পর গতকাল শনিবার দুপুরে নিহতের পিতা মো. শাহ আলম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী ও সাবেক পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরীসহ ১৭৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলা বিএনপি ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর বিকাল ৩টায় চকরিয়া পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। ওই মিছিলে যোগ দিতে কাকারা ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে চকরিয়া পৌর শহরের দিকে রওয়ানা দেন। মিছিলটি কাকারা ইউনিয়নের পুলেরছড়ায় পৌঁছলে এজাহার নামীয় আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাইফেল ও বন্দুক নিয়ে মিছিলকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এ সময় মিছিলে অংশ গ্রহণকারীরা প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। এক পর্যায়ে ১ নম্বর আসামি হাতে থাকা রাইফেল দিয়ে মিজানকে পিছন থেকে গুলি করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় মিজান ছাড়াও আরও ১৯ জন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া ২ নম্বর আসামির হাতে থাকা রাইফেলের ছোড়া গুলিতে সোনা মিয়া নামে অপর এক বিএনপিকর্মী পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।
এ সময় সন্ত্রাসীরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হকের বাড়ি লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ছোঁড়ে। এতে তার বাড়ির দরজা-জানালার কাচ ও দেয়ালের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ মিজানসহ অন্যদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিজান। ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে।
ওই সময় ছেলে হত্যার ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দায়ের করলেও থানা কর্তৃপক্ষ তা এন্ট্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এছাড়া আসামিরা তৎকালীন সরকারের প্রভাব দেখিয়ে মামলার বাদিকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় মামলা করতে বিলম্ব হয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
চকরিয়া থানার ওসি মঞ্জুর কাদের ভুইয়া বলেন, ২০১৩ সালে মিজানুর রহমান হত্যার ঘটনায় তার পিতা বাদি হয়ে শনিবার দুপুরে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। পরবর্তীতে তা মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হয়েছে।