সাপে নেউলের লড়াই উপভোগ করছে বিশ্ব!

1

মিঞা জামশেদ উদ্দীন

সবকিছু যেন এলোমেলো, কোথাও স্বস্তি ফিরছে না। বিশেষ করে চলতি সাপ্তাহের শুরু থেকে এমন কিছু আভাস মিলছে। ১২/৬/২০২৫ইং কর্ণফুলী টানেল ও নিউ মুরিং, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দেখতে যাওয়া হয়। তবে নিউ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে এর আগেও আরো কয়েকবার যাওয়া হয়। অবশ্য তখন এটি বিচ হিসেবে তেমন একটা খ্যাতি পায়নি। অনেকটা অরক্ষিত অবস্থায় ছিল বলা যায়। সমুদ্রের প্রবল ভাঙনের মুখে ছিল এ চরাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এ চরাঞ্চলে প্রচুর তরমুজও চাষ হতো। পতেঙ্গার তরমুজেরও খ্যাতি ছিল দেশ জুড়ে। তখন আমি একটি আঞ্চলিক পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার। সমুদ্রের ভাঙনসহ পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন লেখি এবং লেখাটি ওই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর বেড়িবাঁধের সংস্কার হয় এবং বড়-বড় ভোল্টা-পাথর পেলে ভাঙনরোধ করা হয়। এখন পতেঙ্গার সেই বিচে বিকেল হলে প্রতিদিন শ-শ মানুষের ভীড় এবং উপচে পড়ে সমুদ্রের কলতান ও সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে। অবশ্য তার সাথে যোগ হয়েছে কর্ণফুলী টানেলে। আমার কিন্তু দেখা হয়নি কর্ণফুলী টানেলে। না দেখেও পরপর দুটি আর্টিকেল লেখা। দেখে লেখার দায়িত্বে পড়ে সংশ্লিষ্ট পত্রিকার রিপোর্টারদের। অবশ্য এসব ভিন্ন কথা। অনেকটা হাতের নাগালে কর্ণফুলী টানেল। মনে মনে স্থির করি সময়- সুযোগ হলে দেখতে যাবো বলে। তাই আজকের এ যাওয়া। সঙ্গে ছিলেন অজয় বড়–য়া ও গীতিকার আশিক বন্ধু। অজয় বড়–য়া একটি অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। চট্টগ্রামের জামাল খান থেকে রিক্সাবাইক করে নতুন ব্রিজ যাওয়া। সেখান থেকে বাসে করে আনোয়ারা উপজেলার কর্ণফুলী টানেলে সম্মুখে নামতে হয়। প্রথমে একটু চা খেয়ে চাঙা হওয়া। তারপর টানেলের কানেটিং সড়কের দৃশ্য উপভোগ করা এবং কিছু পথ হাটা। কিন্তু হাতের বায়ে রয়েছে বিস্তীর্ণ একটি মাঠ। চাষিরা ইরিধান- ফলন শেষ করেছে। এবার ওয়েদার ভালো ছিলো বলে ফলনও ভালো হয়েছে। চাষিরা কোনোপ্রকার স্নায়ুচাপ ছাড়াই ধান উঠিয়ে নেয় গোলায়। মাঠ জুড়ে নাড়া আর বেশ কয়েকটি খড়ের কুর্জা। আমরা আরো একটু এদিক-সেদিক হাটলাম। কর্ণফুলী টানালের কানেকটিং সড়কের দু-দিকে দীর্ষ ৯ কিলোমিটার। মুল টানেল ৩.৩২ কি. মি.। ব্যয় হয় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। চায়নার একটি ঠিকাদারি সংস্থা ২০২৪ সালে এ নির্মাণ কাজ শেষ করে এবং একই বছরের প্রথম দিকে উদ্বোধন করা হয়।
আমরা একটি মিনি বাসে ঠসে বসি। সাঁই সাঁই করে নদীর তলদেশ-সুঙ্গ পথে পার হয়ে আসি। যেন চোখের পলকে পার হওয়া। এরপর সৈকতে ঘোরাঘুরি। সূর্যাস্ত দৃশ্য মনোমুগ্ধ করে। আরো কিছুক্ষণ আশিক বন্ধু মোবাইলে দৃশ্য ধারণ ও কনটেন্ট তৈরিতে মহা ব্যস্থ ছিল। মাঝে মাঝে বালু চরে ঘোড়ার দৌড়ও দেখার মতো। যান্ত্রিক সময়ে কিছুক্ষণ উদাস-প্রকৃতির কাছে হারিয়ে যাওয়া এবং মানুষকে ভাবিয়ে তোলে সাগরের এ বিশলতা এবং আছড়ে পড়া ঢেউ আর কল-কল কলতান ও গর্জন। তারা হয়তো কোনটার হিসাব মিলাতে পারে না, অজনা গন্তব্যে, নিজেদের সঁপিত করা এবং শেষ পরিণতি… এই এক দীর্ঘশ্বাস; আমাদের এবারের গন্তব্য লালখানবাজার- ওয়াসা। আবারও একটি মিনি বাসে চড়ে বসা। কিন্তু গাড়ি ছাড়ে না, সামনে-পিছনে তীব্র যানজট। কেন এ যানজট, তারও হদিস নেই। রাস্তায় ট্রাফিক-ব্যবস্থা চোখে পড়েনি, আড়ালে- আপড়ালে ট্রাফিক থাকলেও কি হবে, তাদের কথা এখন কেউ শোনে না এবং তারা নিষ্ক্রিয়। যার যার মতো করে চলছে। এভাবে ১ ঘণ্টা কেটে গেল। রাত তখন ৮টা। বাস ভর্তি যাত্রী। কন্ট্রাক্টরের দাবি যাত্রী প্রতি তাকে ৫ টাকা করে বাড়িয়ে দিতে হবে। কেন তাকে বাড়িয়ে দিতে হবে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলে, ঈদের বকশিস। তার একথা শোনে অনেকে চুপচাপ, আবার কেউ কেউ বাদ-প্রতিবাদ করছিল। গাড়িতে ছিল জুলাই বা ৫ আগস্টের আন্দোলনের ছাত্র নেতারা। তারা এতে তীব্র প্রতিবাদ জানান। তাঁদের বাদ-প্রতিবাদে কন্ট্রাক্টর চুপ হয়ে গেল। তারা আগ্রাবাদ নেমে গেল এবং ভাড়া দিল জনপ্রতি ৩০ টাকা। আমরা ওয়াসা নামবো, ভাড়া দিলাম ৩৫ টাকা। কন্ট্রাক্টর তাতে নেবে না, তার দাবি ৫০ টাকা করে দিতে হবে; আমরা বললাম, কেন? আগ্রবাদ থেকে ওয়াসা ১৫ টাকা নাকি? শেষতক আমরা ৩ জন ভাড়া দিলাম ১০৫ টাকার স্থলে ১৪০ টাকা। কিন্তু তার দাবি মতে হয় বকশিসসহ ১২০ টাকা। তাতেও সে নেবে না কেন। শুরু হয়ে গেল টানা-হেঁচকা। আমার আঙুলের ডগায় রক্ত; হাতের নখ লম্বা হয়ে আছে নিজের অজান্তে। হয়তো আঁচড় লেগেছে কোথাও। ওয়সা নেমে মুখহাত ধুয়ে আবারও গরম-গরম চা খাওয়া হলো। প্রফেসর ও কবি হোসাইন কবির আসলেন। তিনিও এক কাপ চা খেলেন। অতঃপর বন্ধুরা যারযার মত করে বিদায়। আমরাও ওইস্থান ত্যাগ করি।
দ্বিতীয় আরেকটি ঘটনা। তা-ও ঘটে চলন্ত বাসে। এটাকে কি বলতে পারি, দিগভ্রান্ত, না মতিভ্রম? তবে প্রচন্ড স্নায়ু চাপে আছি একথা বলা অপেক্ষা রাখে না। শহর মুখি যাওয়া। অনেকটা উদ্দেশ্য বিহীন। পথে নেমে মেয়ের জন্য আনা টেবিল ফ্যান বাসায় দিয়ে আসি। সাথে কয়েকটি আমও দিয়ে আসলাম। আমগুলো নিজেদের গাছের নয়, বাজার থেকে কেনা।
যথাযথভাবে ৭ নাম্বার গাড়িতে ওঠা। গাড়িতে যাত্রীদের প্রচন্ড ভীড়। কিন্তু কিছু পথ দাঁড়িয়ে যেতে হচ্ছে। সমস্যা হয় যখন সিটে বসতে গিয়ে ; বসতেই পকেট চেক করে দেখি মোবাইল-ফোন নেই পকেটে। সঙ্গে চমকে উঠে বলতে থাকি, মোবাইল নেই পকেট মেরেছে! গাড়িও থামাতে বলি। এরমধ্যে কয়েকজন যাত্রী নামে। তাদের একজনের পকেট চেক করে দেখি। না, পাওয়া গেল না। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যাত্রী বললেন, ‘আমি আপনার মোবাইল কেন নেব?’ আমিও কোনোপ্রকার উত্তর দিলাম না। এরমধ্য একজন বললেন, আপনার মোবাইল নাম্বার দিন কল করে দেখি রিং পড়ে কিনা। আমি মোবাইল নাম্বার দিলে ওই যাত্রী রিং দিয়ে দেখে রিংটোন বাজে। আমরা সবাই রিংটোন শোনতে পাচ্ছি, তবে মোবাইল খোঁজে পাচ্ছি না! আবারও দ্রæত গিয়ে যে সিটে বসেছিলাম সেখানে গিয়ে দেখি সিটের নিচে পড়ে রইল কি-না; না, পাওয়া গেল না। আবারও কয়েকজন যাত্রী বললেন, দেখুন যাত্রীদের পায়ের নিচে পড়ে রয়েছে কি-না। আমিও যাত্রীদের পায়ের নিচে একএক করে দেখতে থাকি, না, কোথাও দেখছি না। কিন্তু মোবাইলে রিংটোন পড়ছিল। এরমধ্যে চালক আবারও গাড়ি চালাতে চেষ্টা করে। তাকে আবারও থামানো হয়। অনেকটা হৈচৈ পড়ে যাত্রীদের মধ্যে; অবশ্য যাত্রীদের তাড়া আছে , একথাও বিশ্বাস করতে হয়। নিজেকেও রীতিমতো বিবৃতকর অবস্থা পড়তে হয় এবং চোখে-মুখে উৎকণ্ঠা আর হাঁপিয়ে ওঠা। তখন এক যাত্রী বললেন, আপনার মোবাইল কোথায় ছিল? আমি বললাম, পকেটে। তিনি আবারও বললেন, আবারও পকেট দেখুন। প্রত্যুত্তরে বলি, পকেট দেখেছি। সে বলে, ‘আবারও দেখুন।’ হ্যাঁ তো পকেটে রিংটোন বাজে এবং হাতে নিয়ে দেখি; কি অদ্ভুত ব্যাপার… যাত্রীরা একেকজনে একেক কথা। আমিও নির্বাক। এবার যথাসময়ে
রাতে বাড়িতে ফেরা। খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত ১টায় ঘুমিয়ে পড়ি। অন্য সময়ে আরো ঘণ্টা দুয়েক পরে ঘুমায়। আজ মন ও শরীর দুই ক্রান্ত। হঠাৎ মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায় এবং হাঁপিয়ে ওঠি। কিন্তু সোয়া অবস্থায় কোনপ্রকার নড়াচড়া করতে পারাচ্ছি না। সঙ্গে কেমন একটা ভাবনার ঘোর জেঁকে ধরে ; দিন অব্দি সন্ধ্যা হয়ে গেলো, এখনো ঘুম থেকে জাগেনি কেন? এবং বড়-বড় নিশ্বাস ফেলছিলাম। আজ এমন হলো কেন, এর রকম তো কখনো হয়নি, যা কিনা টানা ঘুমানো। না, সংশয় জাগে; একপর্যায়ে মোবাইলে দেখি, ৪. ৩০ মিনিট। তবুও বুঝতে পারছি না রাত কিনা, দ্বিতীয় রাত ঘনিয়ে এসেছে ! অবশ্য একটু পরে আযান দিচ্ছেন মসজিদে। তখন মতিভ্রম কাটে, এখনো রাত পোহায়নি।
চতুর্থ ঘটনা হলো, ঘরে আঙ্গিনায়-উঠানে কৈ-মাছ ধরার কাহিনি। এর সাপ্তাহদেড়েক আগে, শহর থেকে আসতে রাত ১২টার দিকে রাস্তার ওপর তির-তির পানিতে তিনটি কৈ-মাছ ছুটে যাচ্ছিল । মাছগুলো ধরার পর বাড়িতে নিয়ে আসি। অবশ্য মাছগুলো খেতে পারি নি। ঘরে কুড়াবাচা ও রান্না করার কেউ ছিলনা। সকালে বড় আপাদের বাড়িতে দিয়ে আসি। এবার ধরি রাত সাড়ে নয়টা। উঠানে তির-তির পানি আর লম্বা-লম্বা ঘাস। এরমধ্যে কি একটা নড়েচড়ে করে ওঠে। প্রথমে সাপ মনে করে লাফিয়ে ওঠি এবং পরখ করে দেখি মোবাইলের আলো দিয়ে। কেমন কান বেয়ে-বেয়ে ছুটে যাচ্ছে কৈ-মাছ। হাত বাড়িয়ে মুঠো নিই। বলুন তো, মাছ দেখলে লোভ কার হয় না ধরতে।
কিন্তু পুকুর তো শুষ্কমৌসুমে সেচ দেয়া; কিন্তু মাছ এলো কোত্থেকে; সম্ভবত উজানের মাছ। অনেকসময় উল্টো আসে বাহির হতে পুকুরে বৃষ্টির পানিতে। সম্ভবত এ মাছ মৌসুমের প্রথমে বৃষ্টিতে অন্য পুকুর থেকে জলাশয়ে বা ডোবায় এসে ডিম ছেড়েছে। তবে মাছটি ঘরে এনে কিছুক্ষণ নড়াচড়া করে পুনরায় জলাশয়ে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। পঞ্চম ঘটনা হলো, সীতাকুন্ড বাজারে আমার দোকারন কাম অফিসে। দিনের শেষে সন্ধ্যায় চার্টার খোলা হয়। গতকাল ঝাড়– দেয়া হয়, আজ পরিষ্কার মনে হলো রুম। কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থেকে বই পড়ছিলাম। হঠাৎ চোখের সামনে কি একটা রুমের হতে দৌড়ে বের দেয়। গলা টানিয়ে দেখি, নেউলে! হ্যাঁ, শহরে মধ্যে নেউলে আসলো কোত্থেকে; যেখানে হাজার হাজার লোকজনের উপস্থিতি এবং ডাক হাঁকিয়ে ছুটছে যন্ত্রচালিত যানও। সম্ভবত খাদ্যের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। প্রকৃতি-পরিবেশও বিপন্ন হয়ে উঠেছে। অথচ নেউলে থাকে ঝুপঝাপে। তাদের লড়াই হয়… সাপ-নেউলে। এ দৃশ্য এবং কাহিনী কমবেশ সকলে জানে।
আজ বিশ্বের ৯টি দেশ কেবল মাত্র, বিধ্বংসী মারণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষমতাসম্পন্ন। আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, ভারত ও ইসরায়েল। সেখানে নতুন করে ইউরিয়াম সমৃদ্ধ করণের পথে ইরান। এটা নিয়ে বাধসাধে ইসরায়েল ও আমেরিকা। তাঁদের কথা হলো, নতুন করে পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে ইরানের এ অবস্থা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। যার ফলে বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনৈতিক পরির্বতন সাধিত হবে; বিশেষ করে খনিজ সম্পদ, স্বর্ণ, তেল ও গ্যাস আধিপত্য বজায় রাখা। মধ্যেপ্রাচ্যের দেশগুলোর এসব মহা মূল্যবান খনিজ সম্পদের মালিক হলেও উত্তোলন, বিপণন ও বাণিজ্যে প্রভাব খাটায় পশ্চিমারা। দেখা যায়, মধ্যেপ্রাচ্যের দেশগুলো প্রায় পশ্চিমাদের নতজানু বা আজ্ঞাবহ। সেখানে ইরানের এমন মাথাছাড়া দিয়ে ওঠা! তা কখনো মেনে নেয়া যায় না। তাই এ টুটি চেপে ধরা। শুধু টুটি চেপে ধরা নয় গলা টিপে হত্যা করা।
ইসরায়েল আকস্মিক এ ঝাটিকা আক্রমন বিশ্ব হতভাগ। শুধু আক্রমন বললে শেষ হবে না তার উপমা, একসঙ্গে শতাধিক স্থানে বিধ্বংসী মারণাস্ত্র হামলা। ইরানের সেনাপ্রধান, গোয়েন্দ প্রধান, সমরবিদ ও পারমাণবিক বিজ্ঞানিকে হত্যা করার ঘটনা। তারপরও ইরান পাল্টা হামলা চালাচ্ছে কি করে-ই; যেখানে সেনা প্রধান নেই। এটি কি পবসিযুদ্ধ। ইরাক, লিবিয়া ও ফিলিস্তিনদের জন্মভূমি গাঁজা উপাত্যকার মতো সব মাটির সাথে মিশ দিয়েই, অতঃপর সাদ্দাম হোসেন ও কর্নেল গাদ্দাফির মতো মানবতা বিরোধি ও যুদ্ধাপরাধির দায়ে ফাঁসির কাস্টে ঝুলাবেনা তো ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনিকে। হয়তো আমরা সেটা কখনো বিশ্বাস ও আশা করি না। তারপরও বলতে হয়, ইরানের এসব টুটকো হামলায় কয়দিন-বা টিকবে। তবে ক্ষণে ক্ষণে উজ্জীবিত মুসলিম-আমজনতা, যাঁরা সর্বময় ধর্মকে ভালো বাসে। তাঁরা শান্তিপ্রিয়, তাঁরা চায়না ধর্ম নিয়ে এরকম নির্লিপ্ত বাণিজ্যকরণ ও বৈশিক রাজনীতি ।
বিশ্ব দেখেছে, পারমাণবিকের ধ্বংসযজ্ঞ ও লেলিহান। নিমিষেই একটি সভ্যতা চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিনদের নিক্ষেপকৃত পারমাণবিক বোমার ক্ষত জাপান এখনো কেটে ওঠতে পারেনি। জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকি তারই জ্বলন্ত উদাহরণ। আজ নির্দ্বিধায় বলতে, সেবার পারমাণবিক বোমার-এ তান্ডব এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সুচিত হয় জায়েনবাদি ইসরায়েলীদের জন্য। কখনো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তা হবে আবারও ইসরায়েলীদের জন্য। তাদের কব্জায় রয়েছে, এযাবত সকল আবিষ্কৃত-প্রযুক্তি-বিজ্ঞান, জ্ঞান-গরিমা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং জল, স্থল, আকাশ, গ্রহ-উপগ্রহ এবং ভূ-গর্ভ, এবং তারা ভোগ করে বিশ্বের একতৃতীয়াংশ সম্পদ, আরাম-আয়েস-বিলাস। তবে ইসরায়েল ও ইরানের এ আত্মঘাতী হামলা ও বিধ্বংসী যুদ্ধের মোর যেকোনো মুহূর্তে ঘুরে যেতে পারে। শান্তির বার্তা নিয়ে আমেরিকা, চীন, উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তান এগিয়ে আসলে, এখানে শেষ হবে সকল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। যেখানে ভারত আর পাকিস্তানের সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ বন্ধ করা হয়েছে।
লেখক: কবি, গবেষক ও কলামিস্ট