সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ হচ্ছে

2

পূর্বদেশ ডেস্ক

প্রস্তাবিত নতুন ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’-এ আগের আইনের বিতর্কিত সব ধারাগুলোকে বাদ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, এই আইন আমাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সুরক্ষা দেবে। নতুন আইনে কোনোভাবেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করবে না। গতকাল মঙ্গলবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৭ নভেম্বর আওয়ামী লীগ আমলে প্রণীত বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। ওই আইন বাতিল করে নতুন এই অধ্যাদেশ জারি করা হচ্ছে।
‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ বাতিল করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিতর্কিত হওয়ার কারণে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হয়েছে। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এটাকে ব্যবহার করেছিল ভিন্নমত দমন তথা মানুষের মুখ বন্ধ করার জন্য। দেশে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি কেউ যেন তার মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে না পারে। সেটাকে পরিবর্তন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
নতুন আইনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমরা সাইবার স্পেসকে সবার জন্য নিরাপদ করতে চাই। আপনারা জানেন, সাইবার স্পেসে অনেক ধরনের অপরাধ হয়। অনেকে প্রতারিত হন। মা, বোন ও শিশুরা অনেক ধরনের বুলিংয়ের শিকার হন। সাইবার স্পেসকে সুরক্ষা দেওয়া সরকারের একটি দায়িত্ব। এ বিষয়টি বিবেচনা করে অধ্যাদেশটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটা নিশ্চিত হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, গত সাড়ে চার মাসে এই সরকারের চরিত্র আপনারা দেখেছেন। কোনও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সামান্যতম প্রভাবিত করেছি, আমার মনে হয় না এ বিষয়ে কোনও এভিডেন্স আছে। আপনারা নিশ্চিত থাকেন, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের মাধ্যমে সব মানুষের সাইবার স্পেসও যেমন সুরক্ষিত হবে। একই সঙ্গে এটা আমাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সুরক্ষা দেবে। এটা কোনোভাবেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করবে না। এই বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন।
আগের আইনে যেসব বিতর্কিত ধারা ছিল, তার সবগুলোকে বাদ দেওয়া হয়েছে, উল্লেখ করেন শফিকুল আলম।