সরকার খাদ্য সংরক্ষণে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে

2

কাপ্তাই প্রতিনিধি

অর্ন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা নিয়ে কিছু সংশয় ছিল। বছরে দেশে প্রায় ৩০ লক্ষ টন চালের প্রয়োজন হয়। খাদ্যে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। বর্তমানে দেশে যথেষ্ট খাদ্য মজুদ রয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশের জনগণ সকাল বেলায় ভাতের পরিবর্তে গমের আটার রুটি খাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে মাত্র ১০ লক্ষ মেট্রিক টন গম উৎপাদন হয়, আর বাকি ৬০ লক্ষ টন গম বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চল সহ রাজশাহী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের কিছু অংশে ধানের ফসল খুব ভালো হয়েছে। তা থেকে আশা করা হচ্ছে সামনে আমাদের আর খাদ্যের সমস্যা হবে না। আমাদের অন্তর্বতীকালীন সরকার খাদ্য সংরক্ষণ করার জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ১০ মে বেলা পৌনে ১২ টায়  রাঙামাটি জেলাধীন কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেস্ট হাউজ বিদ্যুৎ ভবন সম্মেলন কক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক,  কাপ্তাই  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং রাঙামাটি জেলার ১০ টি উপজেলার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে রাঙামাটি জেলার খাদ্য মজুদ ও বিতরণ পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় শেষে খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার গণমাধ্যম কর্মীদের এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ( মারুফ) এতে সভাপতিত্ব করেন। এসময় কাপ্তাই উপজেলার প্রাক্তন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব সফি-উল আলম, রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান, রাঙামাটি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুগতি চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাপ্তাই খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন।