সরকারি ব্যবস্থাপনায় হাজারো মানুষের একসাথে ইফতার

2

এম এ হোসাইন

৯০’র দশক থেকে প্রতি রমজান মাসে জমিয়তুল ফালাহ্ জামে মসজিদ রোজাদারদের জন্য ইফতার আয়োজন করে আসছে। শুরুতে আয়োজনের পরিধি ছোট হলেও, ২০০৯ সাল থেকে এটি আরও বিস্তৃত হয়। ইফতারে সাধারণত ছোলা, মুড়ি, বেগুনি, পেঁয়াজু, আলুরচপ, চমুচা, শরবত, মুড়ি ও খেজুর থাকে। মাঝে মাঝে ফিরনি, হালিম, সেমাই ইত্যাদি যোগ করা হয়। মসজিদে প্রতিদিন হাজার রোজাদারের সমাগম ঘটে এবং এখানে সবাই ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুলে এক সাথে বসে ইফতার করে।
আসর নামাজের পর থেকেই মসজিদে ইফতার সাজানোর কাজ শুরু হয়। মসজিদে রমজানের ফজিলত নিয়ে আলোচনা শোনা যায় মাইক থেকে। ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদ প্রাঙ্গণ ভরে ওঠে রোজাদারদের উপস্থিতিতে।
সবাই নীরবে বসে আলোচনা শোনেন, অনেকে দরুদ পড়েন। ইসলামী ফাউন্ডেশন এই ইফতার আয়োজনের ব্যবস্থাপনায় দায়িত্ব পালন করছে। মসজিদ পরিচালনা কমিটির এই আয়োজনে সহযোগিতা করছেন এয়াকুব আলী কন্ট্র্রাক্টর পরিবার ও জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ফাউন্ডেশন।
মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. সেলিম উদ্দিন জানান, এখানে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ রোজাদারের সমাগম হয়। ইফতারে ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনি, চমুচা, আলুরচপ, জিলাপী, শরবত ও খেজুর বিতরণ করা হয়।
তিনি আরও জানান, এই আয়োজনের পুরো ব্যবস্থাপনা যৌথভাবে মসজিদ পরিচালনা কমিটি, ইসলামী ফাউন্ডেশন, এয়াকুব আলী কন্ট্র্রাক্টর পরিবার ও জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ফাউন্ডেশন পরিচালনা করে।
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে রান্না নিশ্চিত করতে সকাল ৯টা থেকে রান্না শুরু হয় এবং নিজস্ব বাবুর্চির দ্বারা খাবার প্রস্তুত করা হয়। প্রতিটি ইফতারের খাবার স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রস্তুত করা হয়।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই ইফতার অনুষ্ঠানে প্রতিদিন হাজার লোক অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ দিনগুলোতে আরো বড় আয়োজন রাখা হয়। রোজাদাররা আসরের নামাজের পর মসজিদে আসতে শুরু করেন এবং রমজানের আলোচনায় অংশ নেন। ইফতারির করতে আসা রোজাদাররা আজানের আগ পর্যন্ত কেউ দোয়া পাঠ করেন। কেউ দরুদ পাঠ করেন। নির্ধারিত সময়ে সবাই একসাথে ইফতার করেন।
ইফতারে শরিক হওয়া আমিনুল ইসলাম বলেন, সবার সাথে বসে ইফতার করতে ভালো লাগে। ইফতারের পর তারাবীহ নামাজ পড়ি, তারপর বাসায় চলে যাই। অনেক লোকের সাথে ইফতার করা ও তারাবীহ পড়া আমার খুব ভালো লাগে।