পেকুয়া প্রতিনিধি
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় সন্ত্রাসী হামলায় সমাজ কমিটির সভাপতিসহ ২ জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন পেকুয়া সদরের ৬নং ওয়ার্ড সমাজ কমিটির সভাপতি কাঠ ব্যবসায়ী মো. ফজল করিম ও তার নিকটাত্মীয় মো. শাহেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় পেকুয়া ইউনিয়নের সরকারিঘোনা স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফজল করিম সাবেক গুল্দী স্টেশনের সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা স্থানীয় এক দল সন্ত্রাসী তার কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এনিয়ে সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতির সাথে কথা কাটাকাটি হয় সন্ত্রাসীদের। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠিসোঁটা দিয়ে সমাজ কমিটির সভাপতি ফজল করিম ও তার আত্মীয় শাহেদের উপর হামলা চালায়। এসময় গুরুতর আহত হয়ে তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীরা উদ্ধার করে তাদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হমলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আহত সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফজল করিমের ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক গুল্দী স্টেশন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেন জানান, ঘটনার সময় আমি নিজ কাজে গ্রামের বাহিরে ছিলাম। আমার বাবা ও শাহেদকে পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে একই এলাকার মৃত নূরুল কবিরের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী প্রায় এক ডজন মামলার আসামি জসিম উদ্দিন প্রকাশ ডাকাত জসিম ও তার ছোট ভাই সন্ত্রাসী শাহাব উদ্দিন। কয়েক বছর আগে স্টেশনে ডাকাতি হয়। সেই ডাকাতির মামলায় জসিম আসামি হয়ে কারাগারে যায়। এর জের ধরে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকিসহ হত্যার চেষ্টা করে আসছে। আজও সেই উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাকে হত্যা করার জন্য খোঁজাখুঁজি করে। আমাকে না পেয়ে আমার বাবার কাছ থেকে আমাকে বাঁচাতে হলে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আমার বাবা ও আত্মীয়ের উপর হামলা করে আহত করে তারা। এ ঘটনার বিষয়ে আমি পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দুর্জয় বিশ্বাস বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।