চাকসুর সাবেক ভিপি এসএম ফজলুল হককে সভাপতি এবং ব্যারিস্টার মুতাসিমবিল্লাহ ফারুকীকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের নতুন কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়। গত ১১ এপ্রিল অন্তর্ভ‚ক্তিমূলক বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মততিক্রমে এই কমিটি হয়। এছাড়া ২৮ এপ্রিল সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক তা অনুমোদন লাভ করে।
গত ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তনের পর চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অধিকাংশ সদস্যের অনুপস্থিতির কারণে এসোসিয়েশন অকার্যকর হয়ে পড়ে। এছাড়া এসোসিয়েশন নিয়ে বিগত সময় দু’টি বিবদমান কমিটি ছিল কিন্তু দু’টি কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক এলামনাই সদস্য নিয়ে চিটাগাং ক্লাব ও ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এলামনাই এসোসিয়েশন যাতে একিভূত এবং গতিশীল হয়, সেই লক্ষ্যে চাকসুর সাবেক ভিপি এসএম ফজলুল হককে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
কমিটিতে চাকসুর সাবেক সকল ভিপি, জিএস, বিবদমান কমিটির নেতৃবৃন্দ, সাবেক ছাত্র প্রতিনিধি ও নানা স্তরের নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সিনিয়র ব্যক্তিবর্গ ও দল-মতের প্রতিফলন ঘটে। এ কমিটি ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দকে ইতিমধ্যে বিদায়ী সভাপতি ড. আবদুল করিমসহ বিভিন্ন সামাজিক, পেশাজীবী ও শিক্ষক সংগঠন সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়। তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, এই কমিটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখবে।
এদিকে গত ১ মে বিদায়ী সভাপতি ড. আবদুল করিম এক বিবৃতিতে বলেন, এসএম ফজলুল হক সভাপতি এবং ব্যারিস্টার মুতাসিমবিল্লাহ ফারুকীকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কমিটি গত ২৮ এপ্রিল সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদন লাভ করেছে। এই নিয়ে কোন বিভ্রান্তিমূলক প্রচার কাম্য নয়।
এছাড়া এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন’র অনুমোদিত কমিটির সভাপতি এসএম ফজলুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মুতাসিমবিল্লাহ ফারুকীর বিনা অনুমতিতে যে বা যারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের নাম, লগো, প্যাড ও ঠিকানা ব্যবহার করবে, তা ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। বিজ্ঞপ্তি
