জাকের আলীর দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম জ্বলে ওঠেন। দলীয় পারফরম্যান্সের সমন্বয়ে এই জয় এলেও জ্যামাইকা টেস্টে মূল নায়ক তারাই। জাকেরের আক্রমণাত্মক ৯১ রানে ভর করে ক্যারিবিয়ানদের ২৮৭ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে তাইজুলের ঘূর্ণিতে নাজেহাল হয়ে দুই সেশনের মধ্যে তারা অলআউট হয় ১৮৫ রানে। এই জয়ের পর তাইজুল বললেন, এই বাংলাদেশ যে কোন দলের বিপক্ষেই জিততে পারে। তাইজুল দ্বিতীয় ইনিংসে টানা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫ উইকেট নেন ৫০ রান খরচায়। টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫তম বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেটের স্বাদ পান তিনি। সব মিলিয়ে এই টেস্টে ৭৪ রান খরচায় তার শিকার ৬ উইকেট। জ্যামাইকা টেস্টের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ম্যাচসেরা তাইজুল বললেন, ‘এখানে অস্বীকার করার মতো কিছু নাই। আমাদের যে পেস বোলিং আক্রমণ আছে, স্পিন আক্রমণ আছে, আমরা বেশ কিছুদিন ধরে একসঙ্গে খেলে আসছি। সবারই একটা ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা ইনশাআল্লাহ বিশ্বের যে কোনও দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবো।’
১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জিতলো বাংলাদেশ। জয়টির মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে বাঁহাতি এই স্পিনার বলেছেন, ‘এটা আমাদের কন্ডিশনের বাইরে (জয়)। নিজেদের কন্ডিশনের বাইরে এসে এমন জয় অবশ্যই অনেক বড় প্রাপ্তি। আমার কাছে মনে হয় আমাদের ছেলেরা অনেক এফোর্ট দিয়েছে মাঠে। আমাদের চেষ্টা ছিল কোনোভাবে ম্যাচটা জেতার জন্য এবং আলহামদুলিল্লাহ আমরা সফল হয়েছি।’
ম্যাচে ৬ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও অবদান আছে তাইজুলের। দুই ইনিংসে মিলিয়ে ১১৬ বল মোকাবিলায় রান করেন ৩০। ব্যাট হাতে চেষ্টা করলেও বোলিংয়ের সন্তুষ্টির কথা জানান তিনি, ‘আমার বোলিং নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। দলের যখন যেটা চাওয়া ছিল, আমি পূরণ করতে পেরেছি। দ্বিতীয় ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে যখন বোলিং করতে আসি, আমার ওপর দলের একটা বড় চাওয়া ছিল। সেটা সফল হয়েছে। আমার অনেক ভালো লাগছে।’