নিজস্ব প্রতিবেদক
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কাঁচাবাজারে সব পণ্যের দাম বাড়লেও বর্তমানে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করছে। তবে মাছের সরবরাহ একেবারেই কম। চিংড়ি ও লইট্যা ছাড়া অন্য কোন মাছ বাজারে নেই বললেই চলে। তাই যা সামান্য পরিমাণে আছে তাও নাগালের বাইরে দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজারে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাজারে মানুষ কম আসছে। তাতে বিক্রি কমেছে। পণ্যের সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিনে রিয়াজউদ্দিন বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, কাঁচামরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, টমেটো ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৬৫-১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-২৯০ টাকার মধ্যে।এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে রসুন ও আদার দাম। রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা। পেঁয়াজের দামও বাড়তি। প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় দাম কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে তেমন কোনো স্বস্তির খবর পাওয়া যায়নি। বাজারে চিংড়ি ও লইট্যা ছাড়া অন্যান্য মাছ তেমন দেখা য়ায়নি। সামান্য পরিমাণে যা আছে তা অনেক দাম। আগের মতো চড়া দামে প্রতিকেজি চিংড়ি মানভেদে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, লইট্যা ২০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা, ছোট রুই ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, কার্প জাতীয় মাছ ৩০০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, সাগরের পোয়া ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা ও বাইলা মাছ ৬৫০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।