মিঞা জামশেদ উদ্দীন
নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। অসংখ্য ছোট-বড় নদ-নদী ও সাগর নিয়েই এ দেশ এবং এ দেশের ভূপ্রকৃতি। তার মধ্যে চট্টগ্রামে রয়েছে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নদ-নদী। কর্ণফুলী নদীর পাল তোলা মাঝিমাল্লার গান এখনো হৃদয়ে দাগ কাটে। সঙ্গে বাঁশখালী নদী, সাঙ্গু নদী, শংক নদী, ফেনী নদী ও হালদা নদী অন্যতম। তবে হালদা নদী হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং একমাত্র প্রকৃতিগত মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। এটি দেশের জন্য এক অবারিত আশীর্বাদ বলা যেতে পারে। কিন্তু বড়ই দুর্ভাগ্যর বিষয় হলো যে, প্রকৃতিগতভাবে গড়ে উঠা এ মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্রটি কোনভাবেই দূষণ মুক্ত রাখা যাচ্ছেনাÑ নানাভাবে বর্জ্য নির্গত হচ্ছে। এখন হালদা পাড়ের বাতাস ভারি, নিঃশ্বাস নেয়ার মতো পরিবেশ নেই। নদীর পানি কালচে বর্ণ হয়ে ওঠেছে। যা কিনা প্রকৃতিগত মৎস্য প্রজননের সহায়ক নয়। এতে করে মা মাছের আনাগোনাও কমে গেছে। অর্থাৎ প্রজনন মৌসুমে ডিম চাড়া মা মাছ আগের মতো আসছে না-এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে অচিরে মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্রটি হারিয়ে যাবে। ২০২৪ সালে কবি শিহাব শাহরিয়ার সম্পাদনায় ‘বৈঠা’ প্রকাশিত হয়। ৪৫৬ পৃ. এ লিটলম্যাগাটি ছিল মুলত সমুদ্রসংখ্যা। সংখ্যাটি ১৭ পর্বে বিন্যাস করা হয়। এতে সমুদ্র বিষয়ক ৭৯টি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে।
এসব প্রবন্ধে দেশের ছোট-বড় সব নদ-নদীর কথা ওঠে এসেছে, তেমনি বিশ্বের সর্ববৃহৎ আটলান্টিক মহাসাগরসহ আমাজান নদীর কথাও ওঠে এসেছে। সংখ্যাটিতে যেসকল বিষয়ে যাঁরা লেখেছেন- সমুদ্রকথা আবুল মোমেন, ব্যালকনি এক নাগরিক সাম্পান- মাজুল হাসান, বঙ্গোপসাগর ও আমাদের দীপসমূহ, কক্সবাজার এবং সম্ভাবনাময় নিঝুম দ্বীপ- ইয়াদি মাহমুদ মতিন রায়হান, শেষের ভাঙা নিঝুম দ্বীপ- স্বকৃত নোমান, সমুদ্র এখনো আমায় কাছে টানে- হরিশংকর জলদাস, আমার সমুদ্র দেখা- আসাদ মান্নান, সাগর তীরের ভাইশোকা : রোদনের নোনা কাব্য- হাফিজ রশিদ খান, সমুদ্র ও নিঃশ্বাস- ফারুক তাহের, আমাদের এইসব সমুদ্রজীবন- নীলাঞ্জন বিদ্যুৎ, আন্দামান সমুদ্র এক উত্তাল দিন- ফরিদুর রহমান, সমুদ্র দর্শন- ইসহাক খান, সমুদ্র দেখা স্মৃতি- সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, সমুদ্রের কবিতা বেলাভূমির কবিতা- সরকার মাসুদ, আমাদের সমুদ্র দর্শন- মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, অকুতোভয় পূর্বসূরি- দিলু নাসের, সমুদ্র এবং আমি- দেওয়ান সাঈদুল রহমান, কালাপানি- আনিসুজ জামান, প্রথম সমুদ্র দেখার স্মৃতি- মতিন রায়হান, সমুদ্রের ভেতর সূর্য ডুব দেওয়ার গর্জন এখনো কানে বাজে- আনোয়ার কামাল, আর যাবো না মহেশখালী- আলমগীর খোরশেদ, অসময়ে অসময়ে ডুব দিয়ে সমুদ্রে- ওবায়েদ আকাশ, সাগরে ছোঁয়ায় অহং বিসর্জন- আবু মকসুদ, অবেলার সঙ্গী মেরিনা বের দিনলিপি- ফাতেমা খান, সমুদ্রস্মৃতি কিশোরবেলায় প্রথম দেখা- চন্দ্রকৃষ্ণ পাল, সমুদ্র দর্শনের প্রথম স্মৃতি- দেবজ্যোতি পাল অনন্য, মধ্যরাতের সমুদ্র সাপের জ্বিভেদ শব্দ- তুহিন তৌহিদ, সমুদ্রের সাধ- সৌম্য সালেক, সমুদ্র মৃত্যুকে দেখা তিনজন- রিপন আহসান ঋতু, সূর্যটা টুপ করে ডুব দেয় সাগরে- রেজওয়ানা শারমিন, সমুদ্রমাধুরী উপক‚ল সৌরভ ও আমার ভ্রমণিক কবিতাগণ- অনিকেত শামীম, সমুদ্র ব্যাপ্তিতে- কাজী রোজী, বিষয় যখন সমুদ্র- মাসুদুল হক, আমার সমুদ্র স্বপ্ন- আনজীর লিটন, সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারে ভাস্কো দা গামার ভূমিকা- আসাদ মিরণ, সুমুদ্দুর নি:শেষ হইবার ক্রমাগত হাতছানি- পাপড়ি রহমান, সমুদ্র অজান্তব জানালার গল্পসুরভি- পুলিন রায়, যে অনন্ত অসীম বিরাজো হৃদয়ে মম- রেহানা মাহমুদ, সমুদ্র বিরচিত- পিয়াস মজিদ, বিস্ময়কর সমুদ্রের তলদেশ ও অজানা জগত সমুদ্রচারণ- সাজিদ হোসেন, আমার সমুদ্র পাঠ- ইউসুফ মুহাম্মদ, সমুদ্র আখ্যান- সরকার আবদুল মান্নান, সমুদ্র বন্দনা- ফরিদ আহমদ দুলাল, বাংলা কবিতায় সমুদ্র: আমাদের নিত্য জীবনের উর্বর অনুষঙ্গ- তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী, চারপাশ যখন ভাঙতে থাকে- মোহিত কামাল, আদিম লবণ- ঝর্না রহমান, সমুদ্র সঙ্গম- মনি হায়দার, পথ- মণিকা চক্রবর্তী, নীলাভ স্মৃতির পয়ার-নুরুন্নাহার, সমুদ্রঢেউ- শিহাব শাহরিয়ার, সমুদ্র আজ ভিন বাতাস- অলোক বসু, সমুদ্রের গান- বহমেদ বাবুল, দুর্যোগ ও রাজনীতি বোঝে না সমুদ্র- রেজা ঘটক, সমুদ্র : দুঃখের তিমিরে জ্বলে মঙ্গ আলোক- মানবর্দ্ধন পাল, দুঃস্বপ্নের যাত্রী- আনিসুল হক, সমুদ্র এবং একটি এলিজি- খালেদ হামিদী, নাবিক ও বাঁশিওয়ালার সমুদ্রকথন, প্রদান: ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম- আ ক ম মোদাচ্ছের আলী, সমুদ্র: সাক্ষাৎকার, অধ্যাপক ওয়াহিদ আলম- হামিদ উদ্দিন, বাংলাদেশের সমুদ্র- আইনুন নিশাত, সমুদ্রসীমা ও সমুদ্রসম্পদ সংশয় উদ্বেগ- আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশ মিয়ানমার সমুদ্রসীমা নির্ধারণ : একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক- মো. খোরশেদ আলম, সাগরকেন্দ্রিক বাংলাদেশের পর্যটন সম্ভবনা- মো. জয়নাল আবেদীন। বঙ্গোপসাগরে শার্ক এবং শার্ক ফিনিং- ড. নোমান সিদ্দিকী, সমুদ্র ও দূষণ- মেহেদী ইকবাল ও বেসামাল বেদনা ভেসে যায় সমুদ্র- সাগর জামান।
লিটলম্যাগ বৈঠা’র দীর্ঘ সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়। এতে সম্পাদকের শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত ঘটনাবহুল উঠে এসেছে। ‘১৯৮৩ সাল, তখন আমার বয়স ১৮ বছর, গাবতলি থেকে কাঠবডি বা মুড়ির টিনের একটি গাড়ি নিয়ে আমরা মিরপুরের আবাস এলাকার, ২৬ জন বন্ধু মিলে ঢাকা থেকে এক হেমন্তের ভোরে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। যেতে যেতে সন্ধ্যার আঁধারে গিয়ে পৌঁছলাম সমুদ্র শহর কক্সবাজার। বর্তমানে যেটি লাবণ্যময় লাবনী বিচ, সেখানে ঢেউয়ের আর বালির সংযোগ স্থল… আরও কয়েকটি ঢেউ গুনতে আমি আবারও সমুদ্রের কাছে, ঝউবনের আড়ালে সূর্যকে আড়ালে, হাত রেখেছি স্তব্ধ বালিদের কাঁধ… এ সংখ্যাটিতে আমারও একটি প্রবন্ধ স্থান পায়। স›দ্বীপ চ্যানেল: অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দুয়ার, পৃ. ৪৭।
স›দ্বীপ চ্যানেলের উৎপত্তি বঙ্গোপসাগরে মোহনায় থেকে। এটি ক্রমশয় সরু হয়ে উত্তরে সীতাকুন্ড ও মিরসরাই এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত লাভ করে। মুলত এখানে মুুহুরীপ্রজেক্টের বিস্তৃতি থেমে যায়, যার উত্তর আংশে ফেনীর সংযোগ স্থল। অবশ্য ১৯৮৫ সালে এ মুহুরীপ্রজেক্টের সেচ প্রকল্পের আড়াআড়ি বাঁধের কারণে এর গতিপ্রবাহ কমে আসে। যার ফলে শুভপুর হতে মিরসরাইয়ে বিস্তীর্ণ-এলাকা জুড়ে জেগে ওঠে চরাঞ্চল।
বর্তমানে মিরসরাইয়ের ওই চরাঞ্চলকে ইকোনমিক জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মুলত তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী দীলিপ বড়–য়া মুহুরীপ্রজেটে জেগে ওঠা হাজার হাজার হেক্টরের চরাঞ্চলকে শিল্পমন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্ত করে নেন। ইতিমধ্যে ওই শিল্পজোনে শতাধিক ছোট-বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঠামো ও অবকাঠামোগত স্থাপনা গড়ে ওঠেছে। অপরদিকে স›দ্বীপ চ্যানেলের দীর্ঘ প্রায় ১০০ কি. মি. বিস্তীর্ণ যে জলপ্রবাহ রয়েছে, এটি জেলেদের মৎস্য শিকারের অভয়ারণ্য অঞ্চল। সীতাকুন্ড, মিরসরাই ও সন্দ্বীপের জেলেরা প্রতিনিয়ত এখানে মাছ ধরে আসছে। জেলেদের এটি আদিপেশা অর্থাৎ তাদের পূর্বপুরুষেরা পরম্পরায় মাছ শিকার করে আসছে এ চ্যানেলে। তবে এ চ্যানেলের দক্ষিণাংশে প্রতিষ্ঠিত হয় পুরনো জাহাজ ভাঙা কারখানা। বর্তমানে প্রায় শতাধিক শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড চালু রয়েছে চ্যানেলের উপকণ্ঠে। এরমধ্যে ২০২৩ সালে আড়াইশো একর চরাঞ্চলে স্থাপিত হয় ডিসি পার্ক। চলতি বছরের জানুয়ারী ১ তারিখ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাসব্যাপী ফুল উৎসব-মেলা হয়। অবশ্য এর মধ্যে চ্যানেলের বাঁধে প্রস্তাবিত রয়েছে মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এই মেরিন ড্রাইভার-সড়কের কাজ শুরু হয় বিগত আরো কয়েক বছর আগে। কিন্তু ডিসি পার্ক ফৌজদারহাট এলাকায় এসে এটি থমকে দাঁড়ায়।
এ মেরিন ড্রাইভ সড়কটি মিরসরাই ইকোনমিক জোন হয়ে বারৈয়ারহাট-লালপুল এলাকায় মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হওয়ার কথা। অর্থাৎ বন্দর থেকে ছেড়ে আসা সকল মালবাহি লরি, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ছেড়ে যাবে। এতে মহাসড়কে চাপ কমে আসবে। তবে মেরিন ড্রাইভ সড়কের নির্মাণ কাজ মন্থরগতি। যার ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট লেগেই আছে। অপরদিকে মেরিন ড্রাইভ সড়কের পশ্চিম পাশে নতুন করে সৃজন করার কথা ম্যানগ্রোফ বনাঞ্চল। অবশ্য এর পূর্বে থেকে কিছু কিছু চরাঞ্চালে সৃজিত ছিল এ সবুজ বেষ্টনীর ম্যানগ্রোভ বাগান। এ সবুজ বনে মায়া হরিণসহ পরিবেশ সহায়ক অন্যান্য প্রাণীদের আনাগোনা ছিল। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে প্রায় উজার হয়ে গেছে বললে চলে ম্যানগ্রোভ বাগান এর মধ্যে যেটুকু আছে- উত্তরে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন থেকে সৈয়দপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত, সেখানে গুটিকয়েক মায়া হরিণ গুটিসুটি মেরে আশ্রিত আছে। এসকল পরিবেশ সহায়ক হরিণও টার্গেটে পরিণত হয়েছে শিকারীদের। তাদের ফাঁদে আটকা পড়ার খবর শোনাও যাচ্ছে। গত ৪/৩/২০২৫ইং বাড়বকুন্ডের উপকূলীয় অঞ্চলে আহত অবস্থায় একটি মা হরিণ উদ্ধার করা হয়। হরিণটির শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতে চিহ্ন ছিল। রক্ত ক্ষরণের কথাও অকপটে স্বীকার করেন বনবিভাগের লোকজন। শিকারীরা কুকুর দিয়ে তাড়া করে বন থেকে এটি শিকার করেছিল। অবশ্য এলাকার সচেতন লোকজনের বাধার মুখে হরণটি জবাই করতে বা ভূরিভোজন করতে সুযোগ পায়নি। পরে বনবিভাগের লোকজন হরিণটি উপকূলীয় বনাঞ্চলে পুনরায় অবমুক্ত করে দেয়।
এরমধ্যে বালু খেকোদের উৎপাত চরমভাবে বেড়ে গেছে। একটি সিন্ডিকেট চ্যানেলের একাধিকস্থান থেকে গেছে কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেই চলেছে। এর মধ্যে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের তিনটি ধানের মাঠ বালি দিয়ে ভরাট করে ছাড়ে। এতে এলাকার পাঁচ শতাধিক কৃষকপরিবারের লোকজন বেকার হয়ে পড়ে। একসময়ে ওই কৃষি জমিতে আউশ, আমন ও ইরিধান চাষ করতো তারা। সঙ্গে মৌসুমি ফলন, টমেটো, শিম, মটর, আলু, মসুর, খেঁসারি চাষও করে আসছিল কৃষকেরা। ওই এলাকার কৃষকদের আয়ের প্রধান উৎসহ ছিল বিস্তীর্ণ মাঠের জমিজমা। এখন কৃষক পরিবারগুলো বেকার অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। উপজেলার ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের কৃষকদের কৃষি জমিতেও থাপা বসিছে ভূমিধস্যু ও বালু খেকোরা। তারা সমানে চ্যানেল থেকে বালু উত্তোলন করে কৃষিজমি ভরাট করে চলেছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারিতে চ্যানেলের বাড়বকুন্ড এলাকায় জেলেদের সাথে বালু খেকো দলের সাথে তর্কাতর্কি হয়। এ ঘটনায় এক জেলেকে চ্যানেলের উত্তাল পানিতে ফেলে দিয়ে হত্যা করে। অপর এক জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। নিহত জেলে ও অপহৃত জেলে আপন সহোদর। এলাকার জেলেদের অভিযোগ, বালু উত্তোলনের ড্রেজারের সাথে জেলেদের জাল হামেশাই আটকা পড়ে ছিঁড়ে যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে বালু খেকোরা একপর্যায়ে জেলেদের ওপর হামলা চালায়। নিহত জেলে নাম রামদাস জলদাস। অপর অপহৃত জেলে লিটন জলদাস। ৫ দিন পর, ২১ ফেব্রæয়ারি রামদাস জলদাসের মৃতদেহ চ্যানেলের গুলিখালি এলাকা থেকে উদ্ধার কর হয়। তবে এ ঘটনার একদিন পর লিটন জলদাসকে হাতিয়া থানা থেকে নৌপুলিশ উদ্ধার করে এবং এ অপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগে ৬ বালু খেকোকে আটক করা হয়।
কথা হলো, এসব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এমন অনাঙ্ক্ষিত ঘটনা কখনো কাম্য হতে পারে না। মুলত বালু খেকোরা বরাবরই বেপরোয়া। তারা ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করে না এবং আইনকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, বালু খেকোদের সাথে প্রশাসনের যোগসাজশ রয়েছে, না হয় অনুমতি ব্যতিত বছরে পর বছর ধরে বালু উত্তোলন করেই যাচ্ছে শুধু? ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার সাথে জড়িত শ্রমিক কর্মচারীকে আটক করলে চলবে না, বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি আটকসহ সংশ্লিষ্ট মালিক পক্ষের বিরুদ্ধেও অবৈধ বালু উত্তোলনে দৃষ্টান্তমুলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
লেখক: কবি, গবেষক ও কলামিস্ট