শ্রীশ্রী চন্ডীতীর্থ মেধস আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বুলবুলানন্দ মহারাজের বিরহ অনুষ্ঠান বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার মধ্যদিয়ে গত ১২ জুন বোয়ালখালীর করলডেঙ্গা এলাকার সন্যাসী পাহাড় আশ্রম প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল-চন্ডীযজ্ঞ, দশভূজা মায়ের বিশেষ পুজা, মাতৃভোগ, সাধু সংঘ, স্মরনানুষ্ঠান, সমবেত প্রার্থনা, সাধু ভান্ডারা, অন্নপ্রসাদ আস্বাদন।
মেধস আশ্রম পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে স্মরণানুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার মজুমদার। স্মৃতিচারণ করেন সীতাকুন্ড শঙ্করমঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ, জলদী ঋষিমঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী বিবেকানন্দ পুরী মহরাজ, উপাধ্যক্ষ শ্রীমৎ রামানন্দ পুরী মহারাজ, গোমদন্ডী যোগাশ্রমের কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী ছত্রেশ্বরানন্দ সরস্বতী মহারাজ, জঙ্গলজলদী চিন্তাহারী সাধন পীঠের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী মহানন্দ পুরী মহারাজ, ফতেয়াবাদ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী পূর্নব্রতানন্দ মহারাজ, বাঙ্গালহালিয়া জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী অভেদানন্দ ব্রক্ষচারী মহারাজ, আন্দরকিল্লা শ্রীগুরু ধামের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী নির্বানন্দ পুরী মহারাজ, শ্রীমৎ স্বামী স্বরূপানন্দ শাস্ত্রী মহারাজ, তারানন্দ মহাকালী যোগাশ্রমের উপাধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী চিন্ময়ানন্দ পুরী মহারাজ, পটিয়া শ্মশানকালী মাতৃ সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী পরিতোষানন্দ গিরি মহারাজ, শঙ্করমঠ ও মিশনের শ্রীমৎ স্বামী হরিকৃপানন্দ গিরি মহারাজ, শ্রীমৎ স্বামী সন্তোষানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ, উত্তর ভূর্ষি ঋষিমঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ দীপানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ। ভোলানন্দ গিরি সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী উমেশানন্দ গিরি মহারাজের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন করলডেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামিদুল হক মান্নান, আশ্রম পরিচালনা কমিটির অর্থ সম্পাদক সজল দাশ, দীলিপ সেন সহ উপজেলা প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ, আশ্রম পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন মঠ/মন্দির ও মিশনের মহন্ত মহারাজ ও সাধু সন্যাসীরা। অনুষ্ঠানে বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহমত উল্লাহ এক শোকবার্তায় মহারাজের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন। সাধু ভান্ডারায় বিপুল সংখ্যক সাধু-মহন্ত ও হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শ্রীমৎ বুলবুলানন্দ মহারাজ শৈশব থেকেই ধর্মানুরাগী ছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ ব্রহ্মচারীর সান্নিধ্যে তিনি দীক্ষা গ্রহণ করে ব্রহ্মচর্য ব্রতে মাতৃসেবায় জীবন উৎসর্গ করেন। বাবা রামদেবের নির্দেশে তিনি মহাকুম্ভ মেলা ও হরিদ্বার তীর্থভ্রমণ করেন এবং ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন মঠ-মন্দির পরিভ্রমণ করেন। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে তিনি মেধস মুনির আশ্রমের অধ্যক্ষ ও সেবায়েত হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি ভক্ত ও দানশীল ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে মেধস আশ্রমের অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছেন। সনাতন সম্প্রদায় তাঁকে আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। বিজ্ঞপ্তি