নিজস্ব প্রতিবেদক
অবশেষে কালুরঘাট সেতুর উপর নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে এই সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তরের স্মারক উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচনের মধ্যদিয়ে কর্ণফুলী নদীর উপর নতুন একটি রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ শুরু হতে যাচ্ছে। যথাসময়ে সেতুর কাজ শেষ হলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই নতুন সেতু পাড়ি দিতে পারবে বোয়ালখালী তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ।
ফলক উন্মোচনকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘কালুরঘাট ব্রিজ ঘিরে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। এই সেতুর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। আজ এখানে বোয়ালখালীর বাসিন্দাও উপস্থিত আছেন। কালুরঘাট সেতু তাদের বহুল আকাঙ্খিত। এটি তৈরি হয়ে গেলে চট্টগ্রামবাসীর বহু কষ্টের অবসান হবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন একটি কালুরঘাট সেতু নির্মাণ। এর নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় বোয়ালখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী উৎফুল্ল। এখন যে সেতুটি আছে সেটি ১৯৩১ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। যদি এর মেয়াদকাল ৮০ বছর ধরা হয়,তবে ২০১১ সালে এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নতুন সেতুর কাজ ২০২৯ সালের মধ্যে শেষ করে ২০৩০ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এই সেতুর কাজ শেষ হবে।
কালুরঘাট সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর ফলকে এবার প্রধান অতিথি হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম লেখা হয়নি। এই ফলকে নিজের নাম না রাখতে রেল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি। ভিত্তিপ্রস্তর ফলকে অতিথির নাম না থাকার এমন দৃষ্টান্ত বিরল বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর আগে প্রকল্প গ্রহণ, বিআইডব্লিউটিএর আপত্তি, ডিজাইন পরিবর্তন, প্রকল্প ফেরত, অর্থায়ন জটিলতা, ব্যয় বৃদ্ধিসহ প্রতিবন্ধকতায় কেটে যায় ১৫ বছর। এতদিন কালুরঘাটে নতুন সেতুর স্বপ্ন অধরা থাকলেও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর প্রকল্পটির মোড় ঘুরে যায়। গত বছরের ৭ অক্টোবর প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন দেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত ফেব্রæয়ারিতে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর থেকে প্রকল্প কাজ শুরু হওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়।