রাঙামাটি প্রতিনিধি
রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার সব দিক দিয়ে বিচ্ছিন্ন একটি এলাকার নাম লংগদু ঝর্ণা টিলা। এই ঝর্ণা টিলা এলাকাটি নিরবচ্ছিন্ন একটি এলাকা। ৫০-৬০টি বাড়ি নিয়ে এই ৩-৪শ’ পরিবারের বসবাস। ১৯৮২ সাল থেকেই এই এলাকার মানুষ সবদিক দিয়ে বঞ্চিত। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত বিপদজনক ও নাজুক। এই এলাকার মানুষ ১২ মাসই নৌযান দিয়ে চলাফেরা করে থাকে।
লংগদু উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১কিলোমিটার দূরে ঝর্ণা টিলা এলাকাটি অবস্থিত। এ এলাকা মানুষ লংগদু উপজেলা সদরমুখী। তাদের সকল কর্মকান্ড ও সব ধরনের যোগাযোগ হয় লংগদু সদরের সাথে। এলাকার মানুষ নৌপথেই যেতে হয় সদর উপজেলায়। অসুখ বিসুখ হলে বা জরুরি রোগী নিয়ে এবং হাট বাজার যেতে হলে এই নৌকার কোন বিকল্প নেই। যদি ছয় মাস হ্রদের পানি শুকিয়ে যায় তার পরও নৌকা ব্যবহার করতে হয় এ এলাকার মানুষদের। রাস্তা ঘাট না থাকায় নৌকায় তাদের একমাত্র অবলম্বনের পথ।
স্থানীয়রা বলেন, যদিও হ্রদে ৬ মাস পানি থাকে না, তার পরও নৌকা দিয়ে আমরা লংগদু সদরে যাতায়াত করে থাকি। নৌকায় আমাদের একমাত্র ভরসা। ছেলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া আসা সব ধরনের যোগাযোগ নৌকা দিয়ে হয়ে থাকে। যুগযুগ ধরে আমরা এ নৌকার উপর ভরসা করে চলে আসছি। ঝর্ণার টিলা এলাকাটি নিরবিচ্ছিন্ন একটি এলাকা। বর্ষাকাল মনে হয় কোন এক দ্বীপে আমরা বসবাস করি। সরকার চাইলে একটি ব্যবস্থা করতে পারে।
আনোয়ার হোসেন ধলুর বাড়ি হতে রুবেলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হলে লংগদু সদর উপজেলার পশ্চিম পাড় দিয়ে সড়ক যোগাযোগ সম্ভব। লংগদু পশ্চিম পাড়ে একটি ব্রিজ দিলে ঝর্ণা টিলার সাথে চমৎকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্ট হবে। এতে নতুন পর্যটন স্পষ্ট হিসেবে দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা বেড়াতে আসবে। এক নতুন দিগন্ত ফুটে উঠেবে লংগদু ঝর্ণা টিলায়। স্থানীয় লোকজন বলছে, রাস্তা ঘাট না হলেও বিদ্যুৎ থাকলে জনগণের অত্যন্ত উপকার হতো।











