সড়কে নিরাপত্তায় সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ

0

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে চট্টগ্রামে উদযাপিত হয়েছে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৫’।
গতকাল বুধবার দিবসটি উপলক্ষে বিআরটিএ চট্টগ্রাম, জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম এবং সওজ চট্টগ্রাম’র উদ্যোগে সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয় সকাল ৯টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি দিয়ে। র‌্যালিটি নগরীর ইস্পাহানি মোড়স্থ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি পরবর্তী চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়া উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আসফিকুজ্জামান আকতার, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, বিআরটিএ চট্টগ্রামের বিভাগের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. মাসুদ আলম, জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহদ্দীন চৌধুরী, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কীর্তিমান চাকমা, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. আবছা রহিম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের মহাসচিব মোরশেদুল আলম কাদেরী প্রমুখ।
সভায় অতিথিরা সম্প্রতি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেড়ে যাওয়া মৃত্যুর হার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা সড়কে নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রামে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের (৯ জন) পরিবারের মাঝে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩৯ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
এছাড়া ১৫ জন মোটরসাইকেল চালককে বিনামূল্যে মানসম্মত হেলমেট প্রদান করা হয়। যাতে হেলমেটগুলো দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সহায়ক ভ‚মিকা রাখতে পারে।
সভা শেষে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে সড়ক নিরাপত্তা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি রোড ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে পথচারী, চালক ও যাত্রীদের মাঝে লিফলেট, স্টিকার এবং ব্রোশিয়ার বিতরণ করা হয়।
এ দিনের উদ্যোগে সড়ক নিরাপত্তা এবং সচেতনতার ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা এবং দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়, যাতে সড়ক ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব হয়।