সড়কের কাজ শেষ হতে না হতেই ধস

1

রাঙামাটি ও লংগদু প্রতিনিধি

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হালকা বৃষ্টিতেই ধসে পড়েছে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে নির্মাণকাজ শেষ হওয়া এই সড়কে ভয়াবহ সড়ক ধস ও ক্ষতি সাধিত হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দাবি করছেন, লংগদু উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের দুর্নীতি ও গাফিলতির কারনে সড়কের বেহাল দশা হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, লংগদু উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অধীনেস্থ মাইনী মুখ ইউনিয়নের উত্তর সোনাই এলাকার ৪নং ওয়ার্ডে যাতায়াতের জন্য প্রায় ৯৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সড়ক ও রিটানিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরে কাজ শুরু হয়ে মে মাসে কাজটি শেষ হয়। কিন্তু মে মাসের শেষের দিকে সামান্য বৃষ্টিতেই ধসে পড়ে সড়কের একাংশ। মাটি সরে গিয়ে সড়কের পাশে রিটানিংওয়াল সহ সড়ক ভেঙে পড়ে।প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, কাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয়দের কেউ কেউ বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নজরে আনলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। এই জন্য দায়ী উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এই কাজটিতে একেবারেই মনোযোগ ছিল না উপজেলা প্রশাসনের ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। ২ নাম্বার সিমেন্ট ও ২ নাম্বার ইটসহ কাজের মান অনেক খারাপ ছিল। আর ড্রেনের কাজ যে ভাবে হওয়ার কথাছিল সে ভাবে কাজ করা হয়নি। বৃষ্টিতে ধসে যাওয়ায় প্রমাণ করে কতটা গাফিলতি ছিল এই সড়কের কাজে। ৯৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কটি একমাস ও স্থায়ী হলো না।গনগণের টাকা কিভাবে অপচয় করা হয়।
লংগদু উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের এসিস্ট্যান্ট ইনিজনিয়ার নিজাম উদ্দিন বলেন, কাজটির জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কিছু পে-অর্ডার আমাদের কাছে রয়েছে সেগুলো দিয়ে আমরা ভেঙে যাওয়া অংশের কাজ শুরু করে দিয়েছি। এটা দায় সাড়া বক্তব্য দিয়ে পাশ কেটে গেছেন এই অসাধু কর্মকর্তা।
লংগদু উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আলম বলেন,আমরা ঠিকাদারকে ফাইনাল বিল দিয়েছি। কিন্তু তার ১০ পার্সেন্ট জামানতের টাকা আমাদের কাছে জমা রয়েছে। তা দিয়ে আমরা পাহাড় ধসের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
স্থানীয়দের দাবি, তিনিও দায়সাড়া বক্তব্য দিয়ে চলে গেছেন। কাজের ধরনে ও সড়ক ধসে প্রতীয়মান হয় যে, এই কাজে সবার গাফিলতি ছিল। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের গাফিলতি ও দুর্নীতি না ঘটে, সে জন্য নির্মাণকাজ চলাকালীন সময়ে জনসচেতনতা ও তদারকি বাড়ানো উচিত।
স্থানীয় লোকজন বলেন, এই কাজের অনুসন্ধান, তদন্ত কমিটি গঠন ও উপজেলা প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারকে আইনের আওতায় আনা উচিৎ বলে মনে করেন তারা।