চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহŸায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানি করেছিল। যারা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছে তাদেরকে গুম, খুন ও নির্যাতন করেছে। মিথ্যা গায়েবি মামলায় অনেকেই জেল হাজতে মৃত্যুবরণ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে নেতা-কর্মীরা ভোগান্তির শিকার হয়েছে। কিন্তু শত নির্যাতন করেও আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হয়নি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। দীর্ঘ দিনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে মুক্ত নিঃশ্বাস নেয়ার পরিবেশ। ছাত্র-জনতার দুর্বার আন্দোলনে দেশ আজ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। তাই ২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যে সকল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, হয়রানিমূলক, মিথ্যা, গায়েবী মামলা দিয়েছিল তা প্রত্যাহার করতে হবে।
গতকাল শনিবার বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগরের আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মহানগর বিএনপির এক প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের যার যার আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে মামলার বিষয়ে আলোচনা করে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো ফরমেট অনুযায়ী ফরম পূরণ করে দলীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। দীর্ঘ ১৮ বছরের হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলাগুলো নিষ্পত্তিকল্পে আইনজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী ও চট্টগ্রামের সিনিয়র আইনজীবীবৃন্দ।
নাজিমুর রহমান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে। আজকে ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এখন আমাদেরকে এই বিজয়কে সুসংহত করতে হবে। আজকে কেউ যদি সন্ত্রাস করতে চায়, কেউ যদি চাঁদাবাজী বা অন্য কিছু করে সেটা আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে প্রতিরোধ করতে হবে।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, হাজী মো. আলী, হারুন জামান, অ্যাড মফিজুল হক ভ‚ঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, কাজী বেলাল উদ্দিন, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, মন্জুর আলম মন্জু, চট্টগ্রাম মহানগর লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হাসান আলী, অ্যাড. তারেক আহমেদ, অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাড. এফএ সেলিম, অ্যাড. নেজাম উদ্দিন খান, অ্যাড. সৈয়দুল আমিন, অ্যাড. আবদুল আজিজ, অ্যাড. এনামুল হক, অ্যাড. মো. লোকমান, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জাহিদুল হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নুর হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম, কাওসার হোসেন বাবু, মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি