সংশপ্তকের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অভিবাসন বিষয়ক সভা

10

জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর ক্ষতিকর প্রভাবের সমস্যাটি বাংলাদেশের নয়, এটি বৈশ্বিক সমস্যা। বৈশ্বিকভাবে এই ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সম্মিলিত সিদ্ধান্ত আসতে হবে। তবে, এই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ইতোমধ্যে যারা সর্বশান্ত হয়েছেন, বাড়ি-ভিটা হারিয়েছেন, তাদের অতি পুনর্বাসন করা খুব প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অভিবাসন-প্রেক্ষিত চট্টগ্রাম’ বিষয়ক আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ এসব কথা বলেন। ‘বিল্ডিং ক্যাপাসিটি অব কমিউনিটিস অন ক্লাইমেট ইনডিউস্ড মাইগ্রেশন অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাইমেট বাজেট ইন চট্টগ্রাম’ প্রকল্পের আওতায় এই সভা আয়োজন করে চট্টগ্রামের উন্নয়ন সংস্থা সংশপ্তক। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সভার সহযোগিতায় ছিল একশনএইড ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংশপ্তক এর প্রধান নির্বাহী লিটন চৌধুরী। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে গবেষণামূলক ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ক্লাইমেট চেঞ্জ এক্সপার্ট মো. আবদুর রহমান রানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিউটন দাশ, প্রিমিয়ার বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক বিদ্যুৎ কান্তি নাথ, সাবেক কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, বিবিএফ এর উৎপল বড়–য়া, স্বপ্নীল ব্রাইট ফাউন্ডেশনের মোহাম্মদ আলী সিকদার। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক প্রতিনিধি, বস্তি উন্নয়ন কমিটিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিবর্গ। সংশপ্তক এর ভাইস চেয়ারম্যান পার্থ প্রতীম দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা ইনস্টিটিউটগুলোতে জলবায়ু বিষয়ক শিক্ষা সংক্রান্ত সূচি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। সভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে অভিবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদানে সহায়তা করেন কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম। সভা সঞ্চালনা করেন সংশপ্তকের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জয়নাব বেগম চৌধুরী। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন অগ্রদুত দাশগুপ্ত, ডেপুটি ডিরেক্টর পলাশ চন্দ্র দাশ, ফিন্যান্স ম্যানেজার ও অ্যাডমিন ম্যানেজার সাইফুল আলম। বিজ্ঞপ্তি