কোনো কোনো ব্যবসায়ীর সঙ্গে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের ‘আর্থিক’ সম্পর্কের সংবাদ কেন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
গতকাল শুক্রবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ইফতারের আগে আলোচনা পর্বে তিনি বলেন, “কোনো কোনো ব্যবসায়ীর সঙ্গে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক রয়ে গেছে, আছে, কখনো ১৫/১৬ কোটি, কখনো ১০০ কোটি টাকার কথা কেন শুনি আমরা? কেন আপনারা লেখেন না এই কথা।”
মির্জা আব্বাস বলেন, “আমি বলতে চাই যে, আপনারা সাংবাদিকদের দায়-দায়িত্ব অনেক অনেক অনেক। নিজেকে ছোট সাংবাদিক ভাববেন না, সাংবাদিক হতে পারেন, কিন্তু আপনার কলমের কালিটা কিন্তু অনেক দামি।” খবর বিডিনিউজ’র
‘অসির চেয়ে মসির জোর’ যে বেশি সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের লেখা, আপনাদের কথার জন্য জাতির অনেক লাভ হবে। আমরা একইভাবে, উল্টোভাবে অনেক ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে।”
সাংবাদিকদের সত্য প্রকাশে পেশাগতভাবে আন্তরিক ও সৎ হওয়ার আহবান জানান মির্জা আব্বাস।
‘ধর্ষণের শিকার’ মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা দোয়া করি, এই মেয়েটিকে আল্লাহ তাআলা যেন জান্নাত দেন এবং তার আপনজনকে আল্লাহ তাআলা প্রশান্তি দান করেন। দেশবাসী এই ঘটনায় কষ্ট পেয়েছে। দেশবাসীকে এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে এই ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার এবং বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে আমাদেরকে এক ও অভিন্ন হওয়ার তওফিক আল্লাহ তাআলা দান করুন। এই ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই মিডিয়ার বড় ভূমিকা থাকবে, আমি সেই ভূমিকা এটা প্রত্যাশা করি।”
সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত ইফতারে বিএনপি চেয়ারপারসনে উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আখন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান ও সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।
