নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে তা দূর করার একটিমাত্র পথই হচ্ছে দ্রুত নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা। দ্রæত নির্বাচনের রোডম্যাপই পারে রাজনৈতিক সংকট দূর করতে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার স্পষ্ট করে বলেছেন, জনগণের ভোটে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। সমর্থন অব্যাহত রাখার পরও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে মনে হচ্ছে এই সমর্থনের গুরুত্ব অনুধাবন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের কেউ কেউ মনে হচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া বাঁধাতে চায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কাজীর দেউড়ি শহীদ জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের সম্মুখে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আলেম ও এতিমদের অংশগ্রহণে এ আয়োজন করা হয়।
মীর হেলাল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক। বাংলাদেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। শহিদ জিয়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেনাপ্রধান এবং বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক।
মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি’র সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদের পরিচালনায় এতে নগরীর বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রায় সহস্রাধিক ছাত্রের অংশগ্রহণে খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর মাগফিরাত কামনা এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হান্নান জিলানী।
সভাপতির বক্তব্যে নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের গণমানুষের নেতা। সাধারণ মানুষের মতো অতি সাধারণ জীবন ধারণ করতেন। একজন সেনাপ্রধান, একজন রাষ্ট্রপতি হয়েও ছুটে বেড়াতেন সাধারণ মানুষদের ঘরে ঘরে। ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’ নীতিকে বুকে ধারণ করে পথ চলতেন জিয়াউর রহমান। নিরহংকারী এই মানুষটির চাল-চলন, আচার-আচরণ, রুচি-নীতিতে ছিল অতি সাধারণ একজন মানুষের ছাপ। মানুষের প্রতি দরদ আর ভালোবাসার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন তিনি। জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মনসুর রহমান ছিলেন কলকাতার সরকারি বিভাগে কর্মরত একজন রসায়নবিদ। তিনিও অতি সাধারণ জীবন ধারণ করতেন।
মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, নির্বাচন যত বিলম্বিত হচ্ছে, দেশকে তত বেশি অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। জাতি এখন এক গভীর শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ এখন এক অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে আছে। দেশ কোথায় যাচ্ছে, কেউ জানে না। সবাই মিলে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছি। এরপর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশ পরিচালনার যে প্রত্যাশা ছিল, তা হয়নি। অযথা ঘোলাটে না করে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে অন্তর্বরতী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।
এতে মহানগর যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি এস এম শাহ আলম রব, শাহেদ আকবর, ফজলুল হক সুমন, আব্দুল করিম, মিয়া মো. হারুন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. সেলিম খান, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, শাহীন পাটোয়ারী, হেলাল হোসেন হেলাল, গুলজার হোসেন, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক আহাদ আলী সায়েম, জাফর আহমেদ খোকন, তানভীর মল্লিক, সাবেক সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নুর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুহাম্মাদ সাগির, এডভোকেট নাজমুল হাসান সিদ্দিকী, গাজী ফারুক, মহিউদ্দিন মুকুল, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, সাবেক সহ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম শাহেদ, জহিরুল ইসলাম জহির, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, মিজানুর রহমান দুলাল, আরিফ হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, হাফেজ মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সাবেক সদস্য শাবাব ইয়াজদানী, সাইদুল হক সিকদার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল করিম, থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক বজল আহমেদ, সাবেক সদস্য সচিব শওকত খান রাজু, তাজ উদ্দিন তাজু, মোহাম্মদ রাশেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আশিক মল্লিক, মো. নুর খান, সাইফুল আলম রুবেল, মোর্শেদ কামাল, সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দাম, ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক আহবায়ক এস এম আলী, আবু বক্কর বাবু, নাসির উদ্দিন পিন্টুসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।