নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, চট্টগ্রামের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে সংগঠিত হওয়ার ছাড়া কোন বিকল্প নেই। অধিকার আদায়ে সকল ফেডারেশনকে তৈরি হতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যারা নিজেদের দক্ষ নেতৃত্ব হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাদেরকেই যেন আগামী দিনে নেতৃত্বের সুযোগ পায়। দক্ষ নেতৃত্ব তৈরিতে বিলস শক্তিশালী ভ‚মিকা পালন করতে পারে। গতকাল নগরীর হোটেল সেন্টমার্টিনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) আউটপুট ইউর্জাস কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর বিলস-ডিজিবি প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রামে ৮টি সেক্টরে বিলস কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ট্রেড সংগঠনগুলোকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে। যাতে নিজেদের সাংগঠনিক কার্যক্রমে কোন ধরনের সঙ্কটের মুখোমুখি না হয়। প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ হলেও বিলসের কার্যক্রম থাকবে এবং বিলস সংশ্লিষ্ট সকল ফেডারেশন যেন অব্যাহত রাখে।
বিলস-এলআরএসসি সেন্টার কো-অর্ডিনেশন কমিটির চেয়ারম্যান এ এম নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিলস নির্বাহী পরিচালক এবং শ্রম অধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেসবাহ উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক শাহিন চৌধুরী, ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ফসিউল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম শ্রম দপ্তরের পরিচালক গিয়াস উদ্দিন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কার্যালয়ের উপ-মহাপরিদর্শক শিপন চৌধুরী ও টিইউসি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি তপন দত্ত।
উল্লেখ্য, বিলস-ডিজিবি প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামে শ্রমিকদের জন্য ‘লেবার রিসোর্স অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার’(এলআরএসসি) প্রতিষ্ঠা হয়। যা ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও অন্যান্য সিভিল সোসাইটিকে তথ্য সহায়তা প্রদান করে থাকে। নারী ও যুব শ্রমিক নেতাদের দক্ষতা উন্নয়ন্নে কাজ করে। নারী ও যুব নেতৃত্বের উন্নয়ন আরোও জোরালো করতে কাজ করছে। যাতে তারা সামাজিক সুরক্ষা এবং শোভন কাজের প্রচারে ভ‚মিকা রাখতে পারে। এছাড়াও এলআরএসসি’র ডিজিটাল কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ তৈরি করে প্রচারণা চালমান রয়েছে।