স্পোর্টস ডেস্ক
‘দুই ম্যাচ জিততে চাই’ ঘুরেফিরে খেলোয়াড়, কোচের কণ্ঠে এই বার্তা শোনা গেলেও তা পূর্ণতা দিতে পারল না বাংলাদেশ। দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে একেবারেই নিষ্প্রাণ ফুটবল খেললেন মোরসালিন-ফাহিমরা। শেষ দিকে দলও হজম করল গোল। ভুটান সফরে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য পূরণ হলো না বাংলাদেশের।
থিম্পুর চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে রোববার দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম প্রীতি ম্যাচে একই ব্যবধানে জিতেছিল হাভিয়ের কাবরেরার দল।
আগামী বছরের এশিয়ান কাপের তৃতীয় রাউন্ডের বাছাইয়ের ড্রয়ে প্লট-থ্রি’তে থাকার লক্ষে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করতে ভুটান সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। জিততে চেয়েছিল দুটি প্রীতি ম্যাচই, কিন্তু চাওয়া পূরণ হলো না।
দুটি পরিবর্তন এনে দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশ সাজান বাংলাদেশ কোচ। প্রথম ম্যাচে পাওয়া চোটে ছিটকে যাওয়া রাকিব হোসেনের জায়গায় আক্রমণভাগে শাহরিয়ার ইমন এবং অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষের জায়গায় ইসা ফয়সালকে রাখেন কাবরেরা।
শুরু থেকে ভুটান চাপ দিতে থাকে, তবে রক্ষণে তপু বর্মন ও ইসা দারুণ সক্রিয় থাকায় গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে তেমন পরীক্ষার মুখে পড়তে হচ্ছিল না। বাংলাদেশের মাঝমাঠ ছিল ছন্দহীন, আক্রমণভাগেও ছিল না ধার।
৭৫ মিনিটে মোরসালিনের জায়গায় জামাল ভূঁইয়া এবং সোহেল রানা জুনিয়রের বদলি মজিবুর রহমান জনি নামেন। দুই মিনিট পর বক্সে উড়ে আসা বল রাব্বি নাগালে পাওয়ার আগেই ক্লিয়ার করেন ভুটান গোলরক্ষক। শেষ দিকে আচমকাই গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। ফ্রি কিকের পর সতীর্থের হেড পাসে বক্সে ফাঁকায় থাকা কিংমা ওয়াংচুক নিখুঁত শটে পরাস্ত করেন মিতুলকে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের পর ভুটানের মাঠে ফের হারের তেতো স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ১৬ ম্যাচের পরিসংখ্যানে এখন বাংলাদেশের জয় ১২টি, ভুটানের ২টি, বাকি দুই ম্যাচ ড্র।